কুড়িগ্রাম: উৎসব মুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে কুড়িগ্রামের সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল গুলোতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনার পর বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া এ মানুষগুলো প্রথমবারের মতো এ উৎসবে অংশ নিতে পেরেছে।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ছিটমহল মূল ভূ-খন্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের উৎসব-আনন্দে মেতে ওঠে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণির মানুষ।
কুড়িগ্রামের অভ্যন্তরের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া কালীরহাট বাজারসহ ছিটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র্যালি ও শহীদদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে দিবসের সূচনা করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিনভর চলেছে খেলাধুলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এসব আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নেতা ও নাগরিক সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, আলতাফ হোসেন, নুর আলম, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়া ছিটের বাসিন্দারা জানান, নাগরিকত্ব লাভের দীর্ঘ আন্দোলনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ছিটমহলে বিজয় দিবস উদযাপন করলেও এবারে মুক্ত জীবনের বিজয় দিবস আমাদের কাছে অন্যরকম আনন্দের।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি, বাংলাদেশ ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিজয়ের এ দিনে বাঙালি ও বাংলাদেশি হিসেবে বিজয় দিবস পালন করতে পেরে আমরা গর্বিত।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘ ৬৮ বছরের দুঃখ-কষ্ট আমরা ভুলে গেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিজয় দিবস পালন করাটা সত্যিই আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
আরএ