ঢাকা: মসজিদ কমিটিতে জঙ্গিবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সমর্থক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলিস্তান পুলিশ সদরদপ্তরে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় একথা জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, দেশব্যাপী প্রতিটি থানায় জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি গঠিত হবে পুলিশ ও ওলামাদের সমন্বয়ে।
তিনি বলেন, কমিটিগুলোর মধ্যে থেকে যারা জঙ্গিবাদ উসকে দেয় বা মসজিদের ঈমামদের বের করে দেয়, তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো হবে। সেখানে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আছে কিনা গোয়েন্দা পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।
শহীদুল হক বলেন, যেসব মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটি জঙ্গিবাদে মদত দেয় সেই মদতদাতাদের চিহ্নিত করা হবে। ইসলামের নামে হত্যা, নির্যাতনকে বৈধতা দেওয়ার অপতৎপরতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। জিহাদের নামে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। জঙ্গিরা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এ কাজগুলো করাচ্ছে। এর বিপরীতে সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের কাছে পৌঁছাতে ওলামা-মাশায়েখদের সহযোগিতা দরকার।
প্রত্যেকটি কমিটিতে ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যের সুসম্পর্ক বজায় রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশে এখন পর্যন্ত যেসব জঙ্গি গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, এক শ্রেণীর আলেম-ওলামা আছেন যারা কথায় কথায় নাস্তিকতার বিষয়টি আনেন। আমাকে নাস্তিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নাস্তিক বলেন। অথচ তিনি নামাজ পড়েন, কোরআন পড়েন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল আইজিপি মোখলেছুর রহমান, ড. জাভেদ পাটোয়ারি (এসবি), ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ঈমাম ও জমিয়াতুল উলামাহ’র চেয়ারম্যান মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদসহ শতাধিক ওলামায়ে একরাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫/আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা
এসজেএ/এএ