ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্ট ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্ত প্রতিবেদনকে আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন মানব পাচারকারীর অর্থ পাচারের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি ওই তিন পাচারকারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা হলেন- মোহাম্মদ ফারুক, নুরুল কবির ও আবু সৈয়দ। এরা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানবপাচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, পানছড়িপাড়া, সাবরং, টেকনাফ, কক্সবাজার অঞ্চল থেকে মানবপাচারের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মোহাম্মদ ফারুকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এরপরই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
অন্যদিকে ফুলেরডেইল, হ্নীলা, টেকনাফ ও কক্সবাজার অঞ্চল থেকে মানবপাচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অর্থপাচারের অভিযোগে নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানকে। ১৩৯ পৃষ্ঠার অভিযোগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
একইভাবে মানবপাচার করার মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগ আবু সৈয়দের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তার বিরুদ্ধে শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া, সাবরাং, টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবপাচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানেও তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগটি দুদককে খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়। আর ওই অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাসেই ৬০টি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন দিয়েছে বিএফআইইউ। এর মধ্যে বিএফআইইউ থেকে দুদক ও সিআইডির কাছে ৩২টি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই পর্যায়ক্রমে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এডিএ/আরআই