কুষ্টিয়া: পরিমল জয়ধরের পর এবার কুষ্টিয়ার আলোচিত পর্নোগ্রাফি ঘটনার নায়ক পান্না মাস্টারকে পর্নো ভিডিও ধারণ ও প্রচার মামলায় দু’টি ধারায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়াও আদালত পৃথক ধারায় এক লাখ ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।
এ মামলার বাকী তিন আসামি প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, মনোয়ার হোসেন মনো ও আওলাদ হোসেন দুলালকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বেগম মাহমুদা খাতুন জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার বারখাদা আদর্শ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না বিদ্যালয় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কৌশলে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। সেই চিত্র গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে তা ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে অন্যদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করতো। এভাবে চলতে থাকলে হঠাৎ এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সেই ছাত্রীর ভাই ও এলাকাবাসী ২০১৩ সালের ১৫ জুন তারিখে পান্না মাস্টারকে তার ভাড়া বাসায় আটক করে গণপিটুনি দেয়। এ সময় পান্না মাস্টারের কম্পিউটার থেকে কতিপয় ছাত্রীর সঙ্গে পান্নার নিজেরসহ অন্য আসামিদের যৌন সম্পর্কের ভিডিও চিত্র পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পরদিন পুলিশ পর্নোগ্রাফি মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে গোপনে যৌন সম্পর্কের ভিডিও ধারণ ও তা প্রচার করার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করে (যার নম্বর ৮/১৩)।
বিচার চলাকালে তিন আসামি হেলাল উদ্দিন পান্না, প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল ও মনোয়ার হোসেন মনো উপস্থিত থাকলেও আসামি আওলাদ হোসেন দুলাল পলাতক ছিল। এছাড়া অপর আসামি সজল জেলহাজতেই মারা যায়।
এদিকে সরকারি পক্ষের আইনজীবী কুষ্টিয়া জর্জকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান মামুন বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
আরএ