ঢাকা: গ্রামে প্রায় একমাস আগেই শীত পড়েছে, তবে ঢাকায় ছিল না তেমন। গত তিন দিন ধরে ঢাকায়ও বেড়েছে শীত।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) পৌষ মাসের তৃতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণন কেন্দ্র ঘুরে শীতের কাপড় বিক্রির এ চিত্র দেখা যায়।
আবহাওয়াবিদদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে (০১ পৌষ) ঢাকায় পুরোদমে শীত পড়েছে।
রাজধানীতে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকে উপভোগ করতে বেড়েছে শীতের কাপড় বিক্রিও। এবারের শীতে ছেলেদের পছন্দ ব্লেজার, কটি আর জ্যাকেট। সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ির সঙ্গে মানায় বিধায় ফ্যাশনেবল শাল মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে। এছাড়া মোটা কাপড়ের ফুলহাতা গেঞ্জি, মাফলার, মোজাসহ নানা ধরনের নতুন নতুন শীত কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম, শপিংমল এমনকি ফুটপাতেও। ক্রেতার শ্রেণী, চাহিদা ও সামর্থ অনুযায়ী যে যার মতো কিনছেন শীতের পোশাক।
শীতের কাপড় বিক্রির তথ্য জানতে চাইলে প্লাস পয়েন্টের বিপণন কর্মকর্তা নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এক মাস আগে থেকেই শীতের কাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন শীত বাড়ায় সেটি একটু বেড়েছে। তার শো-রুমে জ্যাকেট বেশি চলে। মোটামোটি বিক্রি ভালো কটি, ব্লেজার ও ফুলহাতা বিভিন্ন ধরনের টি-শার্টের।
তিনি বলেন, প্লাস পয়েন্টে ১৫৮০ থেকে ১৮৮০ টাকার মধ্যে জ্যাকেট, ১৯৮০ থেকে বিভিন্ন দামের ব্লেজার, ১৪৮০ থেকে ১৫৮০ টাকার মধ্যে কটি পাওয়া যাচ্ছে। একই তথ্য দিলেন ব্যাঙ, রেস, রেক্স, ইনবক্স, ষোলআনাসহ নানা ব্র্যান্ডের দোকানিরাও।
গুলিস্তানে শুধু জ্যাকেট বিক্রি করেন শরীয়তপুরের ইদ্রিস। ১৫শ’ থেকে চার হাজার টাকার জ্যাকেট রয়েছে তার কাছে। ইদ্রিস বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি অনুযায়ী তার দোকানে দৈনিক ১২-১৫টি বা ২৫-৩০টি জ্যাকেট বিক্রি হয়। তবে আগের বছরের তুলনায় বিক্রি কম।
মৌসুমী এসব কাপড়ের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জ্যাকেট কিনতে আসা এক চাকুরিজীবী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে যেই জ্যাকেট সাত-আট শ’ টাকা দিয়ে কিনেছি এখন তার দাম ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা।
শাল/চাদর বিক্রির দোকানে গিয়ে দেখা মিলেছে নারী ক্রেতাদের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য- সালোয়ার-কামিজ আর শাড়ির সঙ্গে বাজারে এসব শীতের কাপড় মানায় না, শালই যুৎসই। এজন্য শাল কিনছি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এসব শালেরও দাম দ্বিগুণ বা তার চেয়েও বেশি- অভিযোগ ক্রেতাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এসইউজে/আইএ