ঢাকা: নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক)। অথচ জন্মলগ্ন থেকেই রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে চলছে এ বিভাগ।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগটির কার্যক্রম চলার মতো কর্মপরিবেশও নেই এখানে। ছোট একটি ফ্লোরে বৃহৎ একটি বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিজস্ব ভবনবিহীন বিভাগটির জনবল সঙ্কটও চরম পর্যায়ে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ২০টি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনকে স্থলবন্দরে উন্নীত করা হয়েছে। অথচ এখনও নিজস্ব ভবনবিহীন অবস্থায় রয়ে গেছে বিভাগটি। বর্তমানে বাস্থবকের প্রধান কার্যালয়ে ৮০টি পদের বিপরীতে ৭৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, টিসিবি ভবনের ফ্লোর ভাড়া করে বাস্থবকের কার্যক্রম চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগটির জন্য আরও ভালো পরিবেশ দরকার।
সে লক্ষ্যে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে ‘বাস্থবক কার্যালয় ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৪শ’ ৮৬ কোটি টাকা। সরকারি অর্থায়নে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাস্থবক।
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য, বাস্থবকের প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণ করে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন করা।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় ০.২৮ একর জমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ জমিতে দু’টি বেইজমেন্টসহ ১৪তলা প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় ফার্নিচারসহ চারটি কম্পিউটার, দু’টি ল্যাব ও তিনটি ফটোকপিয়ার কেনা হবে। এর পাশাপাশি পাঁচ হাজার ৫শ’ ৮৩ বর্গমিটার প্রধান কার্যালয় অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান (পরিকল্পনা উইং) এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যতোই দিন যাচ্ছে বাস্থবকের কর্মপরিধি বেড়েই চলেছে। কিন্তু টিসিবি ভবনে একটি ফ্লোরে ভাড়া করে কোনোরকমে এ বিভাগের কার্যক্রম চলছে। বলা যায়, এখানে উন্নতমানের কোনো কর্মপরিবেশ নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বাস্থবকের নিজস্ব ভবন দরকার।
জনবল সঙ্কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের জনবল সঙ্কটও রয়েছে। তবে এটি ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
এমআইএস/এসএস/এএসআর