জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবির জাতাইর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শিবিরের দুই নেতাসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ ও পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ সময় পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামের বাসিন্দা ও কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. মো. সুজাউল ইসলামকে ১টি সার্টার গান, ৩টি রাম দা ও ১টি চাইনিজ কুড়ালসহ আটক করা হয়।
শুক্রবার(১৮ ডিসেম্বর) ভোরে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে ও জেলা শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারী, জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘর বিশা গ্রামের আ. ওহাবের ছেলে ও জেলা শিবিরের সেক্রেটারি মো. ওমর আলী ও কালাই উপজেলার বেসখণ্ড গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে সন্ত্রাসী আল আমীন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-পাঁচবিবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম, নায়েক মনোরঞ্জন ও কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, র্যাবের হাতে আটক শিবিরের দুই নেতা ও পুলিশের হাতে আটক সন্ত্রাসী আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার ভোরে অস্ত্র উদ্ধার করতে জাতাইর এলাকায় যায় পুলিশ।
সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াত-শিবির কর্মী ও সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন। গুলিবিদ্ধ শিবিরের দুই নেতা ও আল আমীনকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার(১৭ ডিসেম্বর) ভোরে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা পাঁচবিবি উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে ২টি বিদেশি রিভলবার, ২১টি ককটেল ও ৬টি বোমাসহ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে আটক করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
পিসি/