ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা আর মানব সৃষ্ট দুর্যোগে মৃত্যু দেখতে চাই না। বিশ্বের আর সবার মতো আমিও মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু প্রত্যাশা করি।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্বব্যাংক ও জাইকা’র অর্থায়নে বাংলাদেশে ‘আরবান রিসাইলেন্স’ শীর্ষক আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রকল্প ও আরবান রিসাইলেন্স প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা শহরসহ দেশের কোন এলাকায় কি ধরনের ভবন হবে, সে বিষয়ে আঞ্চলিক ম্যাপিং করে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জেও যথাযথভাবে ভবন নির্মাণ হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে। সরকারি নীতমালা মেনে সবাইকে ভবন নির্মাণ করতে হবে। আমরা আর কোনো রানা প্লাজা দেখতে চাই না। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে।
পরীক্ষাসহ যথাযথ বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করায় গোটা দেশের অপরিকল্পিত ভবনগুলো ঝুঁকিপ্রবণ বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মানবসৃষ্ট অনাচারে পৃথিবী আজ কঠিন বিপর্যয়ের মুখোমুখি। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে আজ এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এর ফলে পৃথিবীর অনেক অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
‘জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত দুর্যোগসহ বেশকিছু দুর্যোগ মোকাবেলা করা কঠিন নয়। তবে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ভবন নির্মাণে সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। সবগুলো শর্ত মেনে ভবন নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো ভূমিকা নিচ্ছে। ’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ শহরবাসী হওয়ায় এসব অঞ্চলের ক্ষতি প্রতিটি দেশের জন্যই ব্যাপক ক্ষতির কারণ। ১৯৫০ সালেও শহরে বাস করতো শতকরা ৩৩ ভাগ মানুষ। আজ তা শতকরা ৫০ ভাগে দাঁড়িয়েছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এ হার শতকরা ৮০ ভাগে দাঁড়াবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালসহ জাইকা ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
এমআইএস/আরএইচ