ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জুম্মান খান (২৭)। কখনো নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো ছাত্রলীগ সভাপতি, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।
কিন্তু আপাদমস্তক প্রতারক এই যুবক অবশেষে একটি হোটেলে ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন সুরমা-ইন হাইওয়ে হোটেলে চাঁদা নেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে ধরে এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সোপর্দ করেছে।
প্রতারক এই যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের দুই নম্বর গেট এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সুরমা-ইন হাইওয়ে হোটেলের মালিক টুটুল বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রলীগের ১০০তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খরচের জন্য চাঁদা দাবি করে ফোন করেন তিনি। এসময় সে নিজেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ পরিচয় দেয়। ফোন নম্বর দেখে সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিষয়টি মাসুম বিল্লাহকে জানান। পরে মাসুম বিল্লাহ ছাত্রলীগের সাত/আটজন কর্মীকে পাঠিয়ে তাকে ধরে এনে সদর থানায় সোপর্দ করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ জানান, সুরমা-ইনের মালিক ছাড়াও জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী মুক্তি খানের ভগ্নিপতি স্টেইনলেস স্টিল ফ্যাক্টরির মালিককে ফোন করে তার পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে প্রতারক জুম্মান।
পরে তারা দু’জন মাসুম বিল্লাহ’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর ছাত্রলীগের কিছু কর্মীকে পাঠিয়ে তাকে সুরমা-ইন থেকে ধরে এনে থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দেওয়া হবে বলে জানান মাসুম।
প্রতারক জুম্মানকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ধরে আনার পর থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এসএইচ