ঢাকা: হেমন্তের শেষে চলছে শীত। দিগন্তের শেষরেখায় সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশার ভাঁজ খুলে ফেলে শীত সাজিয়ে নিয়েছে তার সাম্রাজ্য।
গাঁয়ের বিরান পথে হেঁটে যাওয়ার সময় হু হু বাতাসের কাঁপন জানায় পৌষ এসে গেছে।
শীতের আসল রূপ দেখতে হলে শহর ছেড়ে হাঁটতে হবে গাঁয়ের পথে। মাথার ওপর ঘন কুয়াশার ছাউনি, ভেজা মেঠোপথের দু’ধারে বিস্তীর্ণ সরষে ফুলের ক্ষেত। দূর থেকে আরও দূরে বিছানো। যেনো মখমলের হলুদ কার্পেট।
হলুদ সরষে ফুলের মৃদু উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামের এখানে-সেখানে। শহরের সীমা ছাড়িয়ে গেলে চোখে পড়বে সোনাঝরা এ ফুলের সীমাহীন বাগান।
মাওয়ার নিমতলী এর মধ্যেই ঢেকে গেছে হলদে ফুলের নরম চাদরে। সারা শীতকাল জুড়েই এরা থাকবে।
শীতকালীন রবিশস্য হিসেবে সরষে ফুলের চাষ হয়। সরষে ফুল সর্বনিম্ন পাঁচ ও সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো জন্মে। বেলে-দোঁআশ মাটিতে চাষ করা এ ফসলটি শুধুমাত্র শীতের মৌসুমেই চাষ করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরষে ফুলের চাষ হয়।
আমাদের দেশে সরষের চারা লাগানো হয় হেমন্তে। ইংরেজি মাসের হিসেবে পড়ে অক্টোবর-নভেম্বর। এ দেশে সৌখিন রান্নার উপকরণ সরষে। এছাড়াও সরষের তেল দৈনন্দিন প্রয়োজনে কাজে লাগে।
শহরের সীমান্তেও এসেছে শীত। নিষ্প্রভ ভোরে মাঠে আলো ছড়ানো সরষে ফুলের আভা শেষ বিকেলে মিশে যায় সূর্যের উষ্ণতায়।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এসএমএন/এসএস/এএসআর