ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিধন হচ্ছে জাটকা

মেঘনায় অবাধে কারেন্ট জালের ব্যবহার

সাজ্জাদুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
মেঘনায় অবাধে কারেন্ট জালের ব্যবহার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে শীতেও ধরা পড়ছে ইলিশ। তবে বেড়েছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যবহার।

এতে ইলিশ শিকারের পাশাপাশি নিধন হচ্ছে জাটকা।

বেশি-বেশি ইলিশ শিকারের আশায় অবাধে কারেন্ট জাল ব্যবহার করছেন জেলেরা। অনেক ক্ষেত্রে মহাজন ও দাদনদারদের চাপেও তারা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন নিষিদ্ধ এই জাল।  
 
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, সদর, কমলনগর ও রামগতির উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে কারেন্ট জাল উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। অসময়ে (শীতে) ইলিশ ধরা পড়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান কম থাকার সুযোগে কারেন্ট জালের ব্যবহার বেড়ে গেছে।
 
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলে প্রায় ৫০ হাজার জেলের বসবাস। তাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ জেলে বেশি মাছ শিকারের আশায় কারেন্ট জাল ব্যবহার করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। সুতার জালে অল্প পুঁজি লাগে কিন্তু ইলিশ ধরা পড়ে কম -এমন অভিজ্ঞতা ও ধারণা থেকেই কারেন্ট জাল ব্যবহারে তাদের আগ্রহ।  
 
প্রজনন মৌসুমে সব ধরনের ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ। আর সারা বছরই জাটকা শিকার নিষিদ্ধ। জাটকা শিকার, ক্রয়, বিক্রয়, মজুদ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু অবাধে কারেন্ট জালের ব্যবহারের কারণে ধরা পড়ছে জাটকা। এসব জাটকা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে হাট বাজারে।
 
রামগতি ও কমলনগরের জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধ না করে আমাদের লাখ-লাখ টাকার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জেল-জরিমানা করা হয়। বাজারে জালের বিক্রি বন্ধ না করে নদীতে এসে জেলেদের হয়রানি করা হয়।
 
রামগতি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, কারেন্ট জালসহ সব ধরনের অবৈধ জালের ব্যবহার রোধে মৎস্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
 
রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জেলেরা যাতে মাছ শিকার করতে না পারে এবং জাটকা রক্ষা করতে রায়পুরে স্থায়ীভাবে কোস্টগার্ড ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
 
জাটকা সংরক্ষণ এবং প্রজনন মৌসুমে এ উপজেলায় কোস্টগার্ডের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। তবে এ মৌসুমে এখনো কোস্টগার্ডের ক্যাম্প স্থাপন করা হয়নি বলে জানান তিনি।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে জেলেদের সচেতন করে তুলতে হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫      
এমজেড/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।