ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা সহায়তায় ১৫ কোটি ডলার ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
রোহিঙ্গা সহায়তায় ১৫ কোটি ডলার ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিগত ৩ বছর ধরে এ পর্যন্ত মিয়ানমার এবং এ অঞ্চলে রোহিঙ্গাসহ অভ্যান্তরীন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, শরনার্থী ও আশ্রয় প্রার্থীদের সহায়তায় ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।



মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৩ অর্থবছর থেকে বার্মা ও এই অঞ্চলের রোহিঙ্গাসহ আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, শরণার্থী ও অশ্রয় প্রার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রদান করেছে। এ তহবিল বিভিন্ন মানবিক সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থাদের প্রদান করা হয়েছে। যারা অন্যান্য সেবাসহ চিকিত্সা সেবা, খাবার, পানি, আশ্রয়, প্রতিবন্ধিদের জন্য সেবার ব্যবস্থা করে থাকে।

মার্কিন দূতাবাস আরো জানায়, সোমবার ও মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট কক্সবাজার জেলা সফর করেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ যা করেছে তার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, অনেক দশক ধরেই বাংলাদেশ হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। বার্মা এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি বদ্ধ, যেন এই দেশগুলো রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করতে পারে। তাছাড়াও রোহিঙ্গা শরণার্থী, আশ্রয় প্রার্থী এবং তারা যে অঞ্চলে আছেন সেই সম্প্রদায়কে সাহায্য ও সুরক্ষা প্রদানের কথাও পূনর্ব্যক্ত করেন।

কক্সবাজার সফরে জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা, অনিবন্ধিত ও নিবন্ধিত রোহিঙ্গা এবং মানবিক সহায়তা প্রদানকারী স্থানীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত দুটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন। প্রকল্প দুটির একটি বাংলাদেশ সরকারের মানব পাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা। যেটি জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কর্মসূচি।

বিদেশগমনের আগে অভিবাসীদের সহায়তা, পুলিশ প্রশিক্ষণ, ভুক্তভোগীদের আশ্রয় এবং সহায়তা প্রদান করে থাকে। অন্য যে প্রকল্পটি রাষ্ট্রদূত পরিদর্শন করেন সেটি প্রধানমন্ত্রীর এক্সেস টু ইনফর্মেশন প্রোগ্রাম। যার লক্ষ্য আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতার মাধ্যমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও সরকারি সেবার মান বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সরকারি সেবা পাবার ক্ষেত্রে সময়, খরচ এবং অসুবিধা দূর করা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
জেপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।