ঢাকা: হলমার্ক কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় অংশের ( নন-ফান্ডেড) অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় জনতা ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপকসহ (জিএম) ৯ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর তলবি নোটিশের মাধ্যমে শুরু হলো এ অনুসন্ধান কার্যক্রম।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী স্বাক্ষরিত নোটিশ জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে তাদের আগামী বছরের ১০ ও ১১ জানুয়ারি (২০১৬) দুদকের প্রধান কর্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জেসমিন খাতুন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জিনিয়া জেসমিন ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার, রপ্তানি) জেসমিন আখতার।
১১ জানুয়ারি যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আব্দুছ ছালাম আজাদ, ডিজিএম এস এম আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ডিজিএম আজমুল হক ও এজিএম মো. ফায়েজুর রহমান ভূঁইয়া।
এর আগ হলমার্ক কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড অংশের (দ্বিতীয় অংশ) প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে অনুসন্ধান টিম পূর্ণগঠন করা হয়।
দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর হলমার্ক কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় অংশের ( নন-ফান্ডেড) অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে দুদক। এ লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর ) এক পরিচালকের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। দলের প্রধান দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী।
অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা, সহকারী পরিচালক মো. নাজমুস সাদাত, সেলিনা আখতার মনি, উপ সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও রাফী মো. নাজমুস্ সা’দৎ। দলটিকে বিধি অনুযায়ী অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নন-ফান্ডেড অংশের দুর্নীতি অংশের অনুসন্ধানে গত সেপ্টেম্বরে দলটি দল গঠন করা হলেও নানা কারণে কাজ শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হল-মার্কের নন-ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধান শেষ হলেই দেশের আর্থিক খাতের বড় কেলেঙ্কারিটির পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান শেষ হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ছয় সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে।
সূত্র জানায়, হলমার্ক ও তার পাঁচ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেডসহ মোট তিন হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ফান্ডেড অংশের তদন্ত শেষ করেছে কমিশন। এ অংশে দায়ের করা মোট ৩৮টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মামলাগুলোর চার্জশিট এরই মধ্যে আদালতে দাখিল করেছে কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এডিএ/জেডএস