কক্সবাজার: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে নিখোঁজ হওয়া দুইজন বাংলাদেশিকে অতি দ্রুত খুঁজে বের করা হবে বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করেছেন বিজিপি।
বুধবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ পাশে ঘুনধুম সীমান্তে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে এ আশ্বাস দেয়া হয়।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবির ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শফিউল আজম পারভেজ। মিয়ানমারের বিজিপি পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১নং মিয়ানমার বিজিপি পুলিশ ব্রাঞ্চের অধিনায়ক লে. কর্নেল চ তে জা।
টানা চারঘন্টার এ পতাকা বৈঠক সর্ম্পকে লে. কর্ণেল শফিউল আজম পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, বৈঠকে মূলত গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে হারিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বিজিপি অধিনায়ক দাবি করেছেন মিয়ানমার বিজিপি কর্তৃক এ ঘটনা সংঘটিত হয়নি। তবে এ ব্যাপারে বিজিপি’র পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।
তদন্ত শেষে অতি দ্রুত দুইজন বাংলাদেশিকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এছাড়া তাদের খুঁজে পাওয়া গেলে বাংলাদেশে হস্তান্তরের ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের আহবান করা হবে বলে তারা জানান।
পতাকা বৈঠকে হারিয়ে যাওয়া মো. জয়নাল আবেদীন (৩০) এবং মো. সৈয়দ আলমের (৪৫) ছবি বিজিপি অধিনায়কের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি কর্মকর্তা।
এছাড়া বৈঠকে সীমান্তে বিভিন্ন সময়ে অতর্কিত গুলি চালানো এবং সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়। পরবর্তীতে উভয় দেশের জনগণের জানামালের নিরাপত্তা বিধানে এবং সীমান্তের সুরক্ষার জন্য উভয় দেশ একমত হয়ে যৌথ বর্ডার টহলসহ পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদান এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একমত হন।
চলতি মাসের ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলীর ৪৬ ও ৪৭ নম্বর সীমানা পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি কাঠুরিয়া নিখোঁজের ঘটনায় এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়িতে নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি পরিবারের দাবি, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
টিটি/আইএসএ/টিসি