ঢাকা: সরকারি তহবিল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের শতভাগ বেতন-ভাতা দিয়ে চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা)।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী এক মাসের মধ্যে এই দাবি বাস্তবায়িত না হলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাপসা নেতারা বলেন, অফিস ব্যবস্থাপনা, নথি সংরক্ষণ, ক্যাশ বহি লিখন, ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট তৈরি ও আদায়, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, গ্রাম আদালত পরিচালনাসহ ব্যাংক ঋণ আদায়, এনজিও কার্যক্রমে সমন্বয়, ভিজিডি-ভিজিএফ তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিভিন্ন কাজ করতে হয় সচিবদের।
ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী ইউপি সচিবদের মাস শেষে বেতন-ভাতা প্রাপ্তির যেমন নিশ্চয়তা নেই, তেমিন চাকুরি শেষে পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত সুযোগ-সুবিধা নেই।
নানা ধরনের কাজ করলেও বিধিবদ্ধ প্রশাসনিক দায়িত্ব না থাকায় সরকারি সম্পদের অপচয় রোধে ইউপি সচিবদের নিরব ভূমিকা পালন করতে হয়।
স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনে চাকরি জাতীয়করণ, দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদমর্যাদার দশম গ্রেডে বেতন স্কেল উন্নীতকরণ, শ্রান্তি ও চিত্ত বিনোদন ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, পেনশন প্রথা চালুসহ নির্বাহী ক্ষমতা প্রদানের দাবি জানান ইউপি সচিবরা।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ইউপি সচিবদের সরকারি তহবিল থেকে শতভাগ বেতন-ভাতা প্রদান করে চাকরি জাতীয়করণ করা হলে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না। কারণ বর্তমান বেতন প্রক্রিয়ায় ৭৫ শতাংশ সরকারি তহবিল ও বাকী ২৫ শতাংশ স্থানীয় ভূমি হস্তান্তর কর খাতের অর্থ থেকে ইউএনও পদে কর্মরত ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে পঠিয়ে থাকে।
বাপসা’র আহ্বায়ক দেলওয়ার হোসেন বলেন, এই ২৫ শতাংশ জেলা প্রশাসনকে না দিয়ে শতভাগ বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া সম্ভব।
সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান, আলতাফ হোসেন, শহিদুল হক, আব্দুস সামাদ, বেলায়েত হোসেন, সদস্য সচিব এমদাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫ আপডেট সময়: ১৯২০ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি