ঢাকা: মিরপুরে গ্রেফতার তিন জেএমবি সদস্যদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জঙ্গিদের হাজির করে এ রিমান্ড চাওয়া হয়।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের আদালতে কিছুক্ষণের মধ্যে রিমান্ড শুনানি হবে।
এর আগে, রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ এলাকার একটি ভবন থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) আটক জেএমবি’র তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা (মামলা নম্বর-৩৬) করে পুলিশ। এ মামলায় পলাতক আরও দুই জেএমবি সদস্য ও অজ্ঞাত ছয়জনসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে শাহ আলী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সানোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) মিরপুর-১ এলাকার একটি ভবনে জেএমবির আস্তানায় শ্বাসরুদ্ধকর ১৪ ঘণ্টার অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে জেএমবির তিন জঙ্গি ও সন্দেহজনক চারজনসহ মোট সাতজনকে আটক করা হয়। এ সময় ১৮টি গ্রেনেড-বোমা ও বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
আটক তিন জেএমবি সদস্য হলেন, মো. আবু সাঈদ ওরফে রাসেল ওরফে সালমান (২২), মো. ইলিয়াস ওরফে ওমর ফারুক (২৩) ও মহসীন আলী (২০)। পলাতক জেএমবি সদস্যরা হলেন, শাকিল ও ইমরান।
মো. আবু সাঈদ ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিভিন্ন জেলা ও থানায় সংগঠনের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
এদিকে, আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের সাভার শাখার অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন মো. ইলিয়াস। আর মহসীন আলী জেএমবি’র বোমা তৈরির কারিগর ছিলেন। এর আগেও বোমা তৈরির সময় তিনি আহত হয়েছেন। তার দেহে স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানান এডিসি সানোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, আটক তিনজন, পলাতক দু’জন ও অজ্ঞাত আরও ছয়জনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সন্দেহভাজন যে চারজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের নাম এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আরও তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাদের নামও এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
এমআই/এসএস
** মিরপুরে আটক জেএমবি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা
** সারাদেশে বোমা সরবরাহ করতো জেএমবি সদস্যরা
** মিরপুরে জেএমবি সদস্য আটকের ঘটনায় এখনো হয়নি মামলা