ঢাকা: জাতীয়ভাবে ২৭ ডিসেম্বর 'গার্মেন্টস শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস' পালনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়।
২৭ ডিসেম্বর 'গার্মেন্টস শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস' কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় শ্রমিকদের পক্ষে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন শ্রম অধিকার ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলী ইয়াসমিন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কর্মস্থলে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দর কষাকষির অধিকার, বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি পুনঃনির্ধারণ, শ্রমিক কলোনি নির্মাণ, চার মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি, সরকারি নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা, একোড ও এ্যালায়েন্সের অযৌক্তিক খবরদারি বদ্ধ করা এবং তৈরি পোশাকের ন্যায্য মূল্য (সিএম) নিশ্চিত করা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ও জাসদ নেত্রী শিরিন আক্তার বলেন, শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিদেশি ক্রেতাদের পোশাকের ন্যায্য দাম দিতে হবে। একই সঙ্গে কারখানা মালিকদেরকে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা দিতে হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশের গার্মেন্টস খাতে প্রথম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ১৯৯০ সালের ২৭ ডিসেম্বর। ওই অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন শ্রমিকসহ ২৭ জন প্রাণ হারান।
এ ঘটনার পর তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি গার্মেন্টসে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধের আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রপতির সে আশ্বাসের প্রতিফলন গত ২৫ বছরে দেখা যায়নি। রানা প্লাজা, তাজরিন, স্মার্ট ফ্যাশন, বাইপাইলে স্পেকট্রাম, গাজীপুরের গরিব অ্যান্ড গরিব, চট্টগ্রামে কেডিএস, মিরপুরের রহমান অ্যান্ড রহমান ও সাননিটি তারই প্রমাণ, বলেন শ্রমিকরা।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা বলেন, শুরুতে রফতানি আয়ে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ছিল মাত্র দশমিক ৪ ভাগ। তা এখন বেড়ে রফতানি আয়ের ৮০ ভাগে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- শ্রমিক নেতা মো. আবুল হোসাইন, মো. জাকির হোসেন, সুলতানা বেগম, রাজেকুজ্জমান রতন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এএসএস/বিএস