ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পৌর নির্বাচনের পর জঙ্গি দমনে বিশেষ অভিযান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
পৌর নির্বাচনের পর জঙ্গি দমনে বিশেষ অভিযান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল / ফাইল ফটো

ঢাকা: আত্মঘাতী বোমা হামলা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার পর জঙ্গি দমনে বিশেষ অভিযান শুরু করছে সরকার।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।



তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনের পর নতুন বছরের শুরু থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করবে।

স্বাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের সময় কমিশন যেভাবে চাইবে সেভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম চলবে। নির্বাচন শেষ হলে আমরা অভিযান চালাবো। যেসব জায়গায় প্রয়োজন সেসব জায়গাতেই এ অভিযান পরিচালিত হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখনই এ ধরনের (জঙ্গি তৎপরতা) ঘটনা ঘটে, তখনই আইএস সাইট থেকে প্রচার করে, এটা তারা ঘটিয়েছে। আমরা সব সময়ই বলেছি, এখনও স্পষ্ট করে বলছি এখানে আইএস’র কোনো সাংগাঠনিক ভিত্তি নেই। আইএস আত্মপ্রকাশের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তো কোনোদিন সফল হবে না। এখানে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। আমরা মনে করি দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে ‘আইএস’ নামটা ব্যবহার করা হচ্ছে।
 
রাজশাহী ও তাবেলা হত্যাসহ সবগুলোই কন্ট্রাক্ট কিলিং। অরজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এই প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।    
 
আইএস এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএস কারা, তা আপনারা জানেন। বাগদাদের বংশোদ্ভূত এক ইহুদি, এক নারী কিছু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বলছেন এগুলো আইএস করছে।
 
তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে কারা অর্থায়ন করেছে আমরা তা জানিয়ে দিয়েছি। কাজেই এর সবগুলোই দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।
 
দেশি বলতে আমরা বলছি যারা আগে থেকেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, তারাই এগুলো করছে।
 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু-ধর্মান্ধ নয়। এ ঘটনাগুলো ষড়যন্ত্রের নীল নকশা। তাদের  প্রচেষ্টা সফল করার জন্য।
 
আমি বার বার বলেছি যারাই জেএমবি- তারাই আল-কায়দা, তারাই আনসারুল্লাহ বাংলাটিম। আজ তারা ইসলামের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এ প্রচেষ্টা নিচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়ে তাদের সব অপতৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছি।
 
আর যেগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার মধ্যে হাটহাজারিতে প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছিল তারা ধরা পড়েছে। মিরপুরে যে আস্তানা করেছিল সেটাও আমরা ধরে ফেলেছি।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশবাসী ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এ সব অপকর্ম যারা করছে তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে, তথ্য দিচ্ছে। সে জন্যই আমরা জোর গলায় বলতে পারি জঙ্গিদের আত্মঘাতী চেষ্টাসহ তাদের কোনো প্রচেষ্টাই কোনোদিন সফল হবে না।
 
দেশে অরজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাবেলা সিজার, হোশি কোনিওসহ এ ধরনের সব ঘটনা কন্ট্রাক্ট কিলিং।
 
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই এরা সক্রিয় প্রচেষ্ট নিয়েছে। তবে আমরা তাদের প্রতিহত করেছি। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই জামায়াত-শিবির সক্রিয় হওয়ার প্রচেষ্ট চালিয়েছে। জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরিরসহ বহু নামে বিভিন্ন সময় আত্মপ্রকাশ করার প্রচেষ্টা নিয়েছে। সবগুলাই প্রতিহত হচ্ছে। এরা চিহ্নিত।
 
নিরীহ জনগণের হয়রানির জন্য সিলেটে এবং মিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনায় বেশি সময় লেগেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের আত্মসমর্পণের জন্য সময় দেওয়া হচ্ছিল।
 
৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিয়ে নির্বাচনে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে-হবে। এখানে আতঙ্কিত বা উৎকণ্ঠিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।