ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফিরে দেখা-২০১৫

শাহজালালে ৪১৯ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
শাহজালালে ৪১৯ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: ২০১৫ সালে দেশের অন্যতম চোরাচালানের রুট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪১৮ কোটি ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮১০ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা।

গোয়েন্দা সূত্রগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসেই স্বর্ণের অবৈধ চালান উদ্ধার করা হয়েছে।

কোনো মাসে একাধিক চালানও আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন আধা কেজি থেকে সর্বোচ্চ ৬০ কেজির চালানও উদ্ধার করা হয়েছে।   

এক্ষেত্রে বিমানের টয়লেট, যাত্রীর জুতো, লাগেজে, মোবাইল সেটের ভেতর, কখনো বা যাত্রীর পেটের ভেতর থেকেও স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। চোরাকারবারের সঙ্গে চিহ্নিত অপরাধীর সঙ্গে কূটনীতিকের সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া গেছে বিদায়ী বছর।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতায় মাঝে মধ্যে সোনার চালান ধরা পড়লেও বন্ধ হচ্ছে না স্বর্ণের চোরাচালান। বিমান ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে।

২০১৫ সালে এ বিমানবন্দর থেকে চোরাইপথে আসা ৬৫৯ কেজি ৯১৪ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪১৮ কোটি ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮১০ টাকা। চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এক বছরে ৪২টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ দল ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৪৪ কেজি ১৮০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করছে। যার বাজার মূল্য ১৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৮১০ টাকা। চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সদস্যরা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬৮ কেজি ৯৪৪ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করেছেন। যার বাজার মূল্য ১৫৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৬ কেজি ৭৯০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। যার বাজারমূল্য ৬৬ কোটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

চোরচালালের সঙ্গে কূটনীতিকের সংশ্লিষ্টতা
২০১৫ সালের ০৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার বিমানবন্দর থেকে উত্তর কোরিয়ার এক কূটনীতিকের লাগেজ থেকে ২৭ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

তিনি উত্তর কোরিয়ার হাইকমিশনের ফার্স্ট ইকোনোমিক ফর কমার্শিয়াল সেক্রেটারি সন ইয়ং ন্যাম। তার লাগেজ থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

২০১৫ সালের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিকের লাগেজ থেকে অবৈধ স্বর্ণ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাটি।

আর্মড পুলিশের ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া(তানজিনা আখতার বলেছিলেন, সিঙ্গাপুর থেকে আসা সন ইয়ং ন্যাম’র লাগেজ থেকে ২৭ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার হয়। এ সময় চার কূটনীতিক তাকে রিসিভ করতে আসেন। পরবর্তীতে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী (বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের বিশেষ নিয়ম-নীতি) তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সং ইয়ং ন্যাম সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ-৪৪৬ নামে একটি ফ্লাইটে শাহজালালে অবতরণ করেছিলেন। ইমিগ্রেশন শেষ করে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তার ট্রলি ব্যাগটি স্ক্যান করতে চাইলে বাধা দেন তিনি।

এক পর্যায়ে তিনি দ্রুত গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাকে আটক করেছিলেন।

এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা ওই কূটনীতিককে বলেছিলেন, ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গণনার মধ্যে লাগেজ স্ক্যান করতে না দেওয়া হলে বল প্রয়োগ করা হবে। কাউন্টডাউনের মাঝামাঝি সময়ে সং ইয়ং ন্যাম লাগেজটি হাত থেকে ফ্লোরে রেখে দেন। এরপর এপিবিএন সদস্যরা কৌশলে লাগেজটি স্ক্যান করতে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্ক্যান করার পর ওই লাগেজ থেকে ১৭০ পিস বার (ওজন ১৯ কেজি ও ৮ কেজি) স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

ওই সময় বিমানবন্দর কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার কাজী মুহাম্মদ জিয়াউদ্দীন বলেছিলেন, এটি সত্যিই উদ্বেগজনক ঘটনা। তবে আমাদের সতর্কতার কারণে বিষয়টি ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের করণীয় ঠিক করবেন।

২০১৫ সালের শুরুতেই ১৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজে ১৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ বিমানের দুবাই-চট্টগ্রাম- ঢাকা বিজি-০৪৬ ফ্লাইটটি শাহজালালে অবতরণ করে। পরে বিমানের কার্গো হোল্ডার চেম্বারে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

৬০ কেজি ওজনের স্বর্ণের বার উদ্ধার
০২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিমানবন্দর থেকে ৬০ কেজি ওজনের স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছিলো বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।

উদ্ধারের পর বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেছিলেন, দুবাই থেকে আসা বিজি-০৪৮ ফ্লাইটের টয়লেটের আয়নার পেছনে কৌশলে রাখা অবস্থায় স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো আসামি আটক হয়নি।

যাত্রীর পেটে এক্সরে করে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই সকালে বিমানবন্দরে রফিকুল ইসলাম (৩৯) নামে এক যাত্রীর পেটে এক্সরে করে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছিলো ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

স্বর্ণ চোরাচালানের জন্য কৌশলে নিজেই পায়ুপথের ভেতর দিয়ে স্বর্ণের বারগুলো পেটে ঢুকিয়ে ছিলেন তিনি।

চোরাচালানের জন্য নিয়মিত বিদেশ যাওয়া-আসা করতেন বলেও স্বীকার করেছিলেন তিনি।

আটক রফিকুলের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তার পেট থেকে উদ্ধার হওয়া ৬ স্বর্ণের বারের ওজন ৭০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যুগ্ম কমিশনার সোহেল রহমান বলেছিলেন, ৩০ জুলাই দিনগত রাত ১০টার দিকে ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে করে দুবাই থেকে ঢাকা আসেন রফিকুল। প্রথমে রফিকুল ইসলামের লাগেজে তল্লাশি করলেও কোনো স্বর্ণের বার পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদেও তেমন কিছু বলেননি। তবে তার চলাফেরায় আমাদের সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।

পরদিন সকালে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে রফিকুলের পুরো শরীরে এক্স-রে করানো হলে তার পেটে ৬টি স্বর্ণের বারের সন্ধান পাওয়া যায়। রফিকুলের পেটের ভেতর থেকে স্বর্ণের বারগুলো বের করে জব্দ করা হয়।

জুতোর ভেতরে স্বর্ণের বার
২০১৫ সালের ৩১ মার্চ বিমানবন্দরে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

ওইদিন মধ্যরাতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় আসেন মাহমুদা হোসেন (২৬)। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে তল্লাশি করলে জুতোর ভেতরে ৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। সেগুলোর ওজন আড়াই কেজি। যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ২২ লাখ টাকা।

মাহমুদার সঙ্গে একই ফ্লাইটে আসা নুরুল্লাহ নূর (৪৫) নামে আরেকজনের কাছ থেকে ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। প্রায় ৮০০ গ্রাম ওজনের এসব স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ লাখ টাকা।

০৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বিমানবন্দর থেকে ৩৭ কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টম হাউস।    

দুবাই থেকে আসা ইকে-৫৮৬ ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো আসামি আটক হয়নি।

উদ্ধারকৃত বারের সংখ্যা ৩২০টি। স্বর্ণের বারগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ১৯ কোটি টাকা। বারগুলো বিমানটির একটি আসনের নিচে ছিল। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিমানটি জব্দ করা হয়।

এর ঠিক চারদিন পর ৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় বিমানবন্দরে অবতরণ করা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এম এইচ-১৯৬ ফ্লাইট থেকে ১৮ কেজি ৫শ’ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

ওই ফ্লাইটের ১২-ই ও এফ সিটের পেছনে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচানো ৮টি বান্ডেল থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বান্ডেলে ২০টি করে স্বর্ণের বার ছিলো। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা। তবে যে দু’টি সিট থেকে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সে সিট দু’টিতে কোনো যাত্রী ছিল না।

ওই সিটে কোনো যাত্রী না থাকায় কাউকে আটক করা হয়নি। এ বিষয়ে ওই বিমানের আশপাশের সিটের যাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

০৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন জোনের টয়লেট থেকে ১৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে শুল্ক-গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম নামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

টয়লেটের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত ঝুড়ির মধ্যে এ স্বর্ণ টিস্যু পেপার দিয়ে মোড়ানো ছিল। উদ্ধারকৃত ওই স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা।

২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর সকাল সোয়া ৮টায় বিমানবন্দরে একটি প্লেনের ভেতর থেকে ১৪ কেজি সোনার বার উদ্ধার করে ঢাকা শুল্ক বিভাগ। জব্দ করা সোনার বারের মূল্য প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা।

প্লেনের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে সিট কভারের নিচ থেকে ১২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে আসা আরএক্স ৭৮৩ বিমানটি জব্দ করা হয়েছে।

১৫ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫টায় বিমানবন্দর থেকে ৪ কেজি স্বর্ণসহ রওশন আলী (৩২) নামে ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করে কাস্টমসের প্রিভেনটিভ দল। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর দাম ২ কোটি টাকা।

বিকেল ৫টার দিকে ব্যাংকক থেকে বিজি-৮৯ একটি ফ্লাইটযোগে বিমানবন্দরে আসেন রওশন আলী। তাকে তল্লাশি চালিয়ে এক কেজি ওজনের ৪টি কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছিলো।  

১৮ জুন বিমানবন্দরে মোবাইলের সেটের ভেতর থেকে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছিলো ঢাকা কাস্টমস হাউজ। ওই ঘটনায় তিনজন যাত্রীকেও আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, আলী মোহাম্মদ, ইউসুফ ও রানা।

উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য দুই কোটি টাকা।

রাত ৮টার দিকে বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। মোবাইল সেটের খাপের ভেতরে প্যাকেট করে অভিনব কায়দায় এ স্বর্ণগুলো আনা হয়েছিল। আটককৃত তিনজন টাইগার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন।

ওই সময় আটককৃত যাত্রীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।

২৮ এপ্রিল বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে আধা কেজি স্বর্ণসহ এক যাত্রীকে আটক করে এপিবিএন। এর মধ্যে ছিলো ১০০ গ্রাম ওজনের তিনটি স্বর্ণের বার, ২০০ গ্রাম গহনা। আটককৃতের নাম মো. জোবায়ের আক্তার (৩৫), তার বাড়ি টাঙ্গাইলে।

ওই দিন দুপুরে মালয়েশিয়ান এলারলাইন্সে করে বিমানবন্দরে পৌঁছান জোবায়ের। এরপর ট্রলিতে করে মালামাল নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় এপিবিএন সদস্যরা তার শরীরে তল্লালি চালালে স্বর্ণের বার ও গহনা উদ্ধার করা হয়।

চোরাচালান বন্ধের বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভদের সমন্বয় একটি টিম গঠন করা হয়েছিলো। তারা বিদেশিদের ওপর বেশি নজরদারি করবেন। এতে করে চোরাচালান রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সক্ষমতা অর্জন করেছে প্রিভেন্টিভদের ওই টিমটি।

এপিবিএন সদস্যরা চোরাচালান রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এসজেএ/এএসআর/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।