ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় শিল্পমন্ত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় শিল্পমন্ত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

রোববার (০৩ জানুয়ারি) তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন।



তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আংশিক জেরা করে সময়ের আবেদন জানালে ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন তা মঞ্জুর করে সোমবার (০৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করেন।

মামলার ২০৫তম সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য দেন আমির হোসেন আমু।

সাক্ষ্যে আমু বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের মদদে জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে হত্যা করে দলটিকে নেতৃত্বশূন্য করা। ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার গায়েও স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।

এ মামলার জামিনে থাকা আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম। তারা আদালতে হাজির ছিলেন।

অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৪ জন কারাগারে আছেন। এ মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হয় গত বছরের ২১ নভেম্বর রাতে।
 
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৫
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।