ঢাকা: পদ্মাসেতুর মতোই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান হচ্ছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের ১০ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাইলিং পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। অনেকে আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন, আবার অনেকে বলেছিলেন ভিত্তিপ্রস্তরের মধ্যেই কী সীমিত থাকবে এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ে?
‘পদ্মাসেতু যেভাবে দৃশ্যমান হয়েছে একই ভাবে এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়েও এখন দৃশ্যমান হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ শেষ হওয়ার টার্গেট থাকলেও কাজ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ২০১৯ সালেই এটি হয়ে যাবে।
কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে থেকে বনানী পর্যন্ত প্রথম ধাপে কাজের ৮১০টি পাইলিংয়ের মধ্যে ৮৪টি পাইলিং সম্পন্ন হয়েছে। এ পযন্ত অগ্রগতি ১০ শতাংশ।
এ প্রকল্পের পুনবার্সনের দিক তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে যাদের বাড়িঘর দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উত্তরা তৃতীয় ফেজে ৪০ একর জমির ওপর ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
‘দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মহাখালী হয়ে তেজগাঁও থেকে মগবাজার পর্যন্ত যাবে। আর তৃতীয় ধাপে মগবাজার থেকে যাত্রাবাড়ী কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে এক্সপ্রেসওয়ে। এর পুরোটা হবে উড়াল পথে। বেশিরভাগই যাবে রেললাইনের ওপর দিয়ে,’ যোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।
কাদের জানান, এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ইটালিয়া থাই ডেভলপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে প্রাইভেট পাবলিক (পিপিপি) ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তাবায়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
যানজট নিরসনে জোড়-বিজোড় যান চালুর পদ্ধতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জোড়-বিজোড় চালু করে দিল্লিতে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বিষয়টা বেশ সময় সাপেক্ষ, এরপরও যানজট নিরসরেন এ বিষয়টি আমাদের চিন্তায় আছে। ’
ফুটপাত উদ্ধার ও অবৈধ গাড়ির চলাচল বন্ধ করার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে মূল জায়গায় হাত দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এসএ/এমএ