ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতু ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার প্রচলিত আইনে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
পদ্মাসেতু ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার প্রচলিত আইনে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: পদ্মাসেতু প্রকল্প নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদের বিচার প্রচলিত আইনেই সম্পন্ন হবে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য (ঢাকা-৬) কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে পদ্মাসেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে আনা কথিত দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। তৎকালীন সময়ে পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা দিতে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার প্রচলিত নিয়মেই সম্পন্ন হবে।

‘বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় পদ্মাসেতুতে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস সঞ্চালণ পাইপ লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা আছে,’ বলেন তিনি।  

শেখ হাসিনা জানান, গ্যাস পাওয়া ও পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়ন পাওয়া সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য পায়রা বন্দরে একটি ল্যান্ড বেসড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকার নিয়েছে।  

পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  নদীর উপর নির্মিত এবং ফাউন্ডেশনের গভীরতার দিক থেকে পৃথিবীতে পদ্মাসেতুর অবস্থান প্রথম।

‘পৃথিবীর বৃহত্তম হাইওয়ে সেতুর মধ্যে (ভায়াডাক্টসহ) পদ্মাসেতুর অবস্থান ২৫তম। তবে নদীর উপর নির্মিত সেতুর মধ্যে এ সেতুর অবস্থান প্রথম এবং ফাউন্ডেশনের গভীরতার দিক থেকেও এ সেতুর অবস্থান প্রথম,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পের বিভিন্ন প্যাকেজের নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি স্থগিত করে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে বিশ্বব্যাংকের সে অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

‘তবে এক পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে পুনরায় ফিরে আসার ঘোষণা দিলেও নতুন নতুন শর্ত আরোপ করে দীর্ঘসূত্রিতার পথ অবলম্বন করে। এজন্য তাদের ঋণ না নিয়ে সরকারের সাহসী ও স্বাধীনচেতা নেতৃত্ব ও দৃঢ় সিদ্ধান্তের ফলেই আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।