ঢাকা: অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জনসাধারণের পক্ষ থেকে তাকে বলা হচ্ছে ‘মন্ত্রিসভার একজন সম্পদ’।
দুপুরে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে আচমকা অভিযানে নেমে ফিটনেসহীন গাড়ি জব্দ ও যাত্রী অভিযোগ শুনে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এ উষ্ণ অভিনন্দন পাচ্ছেন মন্ত্রী। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় তার আকস্মিক অভিযানে বিস্মিত ও উচ্ছ্বসিত হয়ে তখনই উপস্থিত জনতার কেউ একজন ‘ফাটাকেষ্ট’ বলে ওঠেন মন্ত্রীকে।
ওবায়দুল কাদেরের দশ মিনিটের এই ঝটিকা অভিযানের খবর বাংলানিউজে প্রকাশের পর ফেসবুক ব্যবহারকারী জনসাধারণের পক্ষ থেকেও ভূয়সী প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে তাকে। তারা বলছেন, ওবায়দুল কাদের মন্ত্রিসভার একজন সম্পদ। তার মতো যদি আরও কিছু ব্যক্তি মন্ত্রিসভায় থাকতেন, তবে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই সোনার বাংলা হয়ে উঠবে। জনতার পক্ষ থেকে ‘আন্তরিক অভিনন্দন’, ‘হাজারো সালাম’ এবং ‘স্যালুট’ জানানো হচ্ছে মন্ত্রীকে।
বাংলানিউজের প্রতিবেদনে পাঠক কল্লোল সরকার মন্তব্য করেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়। আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনি মন্ত্রিসভার একজন সম্পদ। আপনার মতো আর কিছু ব্যক্তি মন্ত্রিসভায় যোগ দিলে আমাদের এই দেশ সত্যিকার অর্থেই সোনার বাংলা হয়ে উঠবে। ’
শহীদ শহীদুজ্জামান বলেন, ‘জানি সমগ্র বাংলাদেশের ফিটনেসবিহীন বাস ওনার একার কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়! ট্রাফিক পুলিশ যেখানে অহরহ ঘুষ খেয়ে ছেড়ে দেয়! তারপরেও চেষ্টা তো করছেন। এজন্য ধন্যবাদ। ’
পাঠক মাহজারুল কবির টিটো আক্ষেপ করে বলেন, ‘স্যার, আপনার মত আর ও কিছু মন্ত্রী দরকার ছিল। ইউ আর সো নাইস। স্যালুট ইউ স্যার। ’
‘সবাই যদি ওবায়দুল কাদেরের মতো মন থেকে কাজ করতো তাহলে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সবার ওপরে থাকতো’ বলেও মন্তব্য করেন পাঠক রবিউল আওয়াল রবিউল।
পাঠক জাহেদ ইসলামের উপলব্ধি, ‘স্যার আপনার মতো করে দেশ চালালে বাংলাদেশ আজ দুবাই-সিঙ্গাপুর হয়ে যেতো। ’
মন্ত্রীকে ‘জনগণের বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে পাঠক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আপনি জনগণের বন্ধু। পুলিশ ও সার্জেন্ট জনগণের শত্রু। ’
মো. নূর নবী হোসেন বলেন, ‘আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আপনার জন্য ভালোবাসা। অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকেও আপনার মতো প্রত্যাশা করি। ’
পাঠক মাজহারুল ইসলাম মন্ত্রীকে ‘হাজার সালাম‘ জানিয়ে ‘এ ধরনের অভিযান অব্যাহত’ রাখার পরামর্শ দেন।
পাঠক আবু সাঈদ তিশাদ ‘ফাটাকেষ্ট’ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরামর্শ দেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের পেছনে গোয়েন্দা লাগাতে পারেন কয়েক মাস। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। দুর্নীতি করলে বদলি করতে পারেন পার্বত্য চট্রগ্রাম ও উত্তরবঙ্গে।
রুপক খানও প্রায় একই ধরনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভালো কাজ করছেন। কিন্তু তিনি যদি রাস্তার দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশদের অ্যাকশনের পেছনে একটু সময় দিতে পারতেন, তাহলে যানজট ৮০ শতাংশ কমে যেতো। কারণ এসব পুলিশেরা টাকা খেয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙছে। এছাড়া, আমাদের পাবলিকদেরও সচেতন হওয়া চাই। ’
‘দেশের উন্নয়নে সকল সেক্টরে একেকজন ওবায়দুল কাদের প্রয়োজন’ বলেও মন্তব্য করেন বাংলানিউজের পাঠক নুমান খান।
* অভিযানের ভিডিও
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এইচএ/
** ‘ফাটাকেষ্ট’র ভূমিকায় ফের ওবায়দুল কাদের (ভিডিও)
** এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান