ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ফুলটাইম না পার্টটাইম!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ফুলটাইম না পার্টটাইম! ছবি: রাজিব / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আমাদের গণতন্ত্র হচ্ছে নির্বাচন সর্বস্ব। যে কারণে স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ফুলটাইম, না পার্টটাইম তা বোঝার উপায় নেই।

কেননা, তাদের অর্থ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব নেই। ফলে তারা নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা শহরে বা ঢাকায় বসবাস করেন।

প্রখ্যাত স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. তোফায়েল আহমেদ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য মোট ৯টি আইন এবং শতাধিক উপ আইন আছে। তাই আইনের ভিড়ের মধ্যে পড়ে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হচ্ছে না। এজন্য সমন্বিত আইন করতে হবে। এতে একটি মাদার ল’ থাকবে। যার অধীনে সব স্থানীয় সরকার পরিচালিত হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের গণতন্ত্র হচ্ছে নির্বাচন সর্বস্ব। এখানে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অর্থ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব নেই। তারা ফুলটাইম না পার্টটাইম তা বোঝার উপায় নেই। আইনেও বিষয়টির উল্লেখ নেই। নির্বাচনের পর তাদের দায়িত্ব কি তাও কোনো আইনে নেই। তাই এ বিষয়গুলোও নির্ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ভারতসহ আমাদের মতো দেশগুলোতে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে সমন্বিত আইন রয়েছে। সেগুলো আমলে নিয়ে সমন্বিত আইন প্রণয়ন করতে হবে। কেননা, আমাদের সংবিধানে যা আছে, আইনে যা আছে, বিধিতে তা নেই। আবার বিধিতে যা আছে তা কার্যকর নয়। তাই স্থানীয় সরকারকে কর্তৃত্ব, ক্ষমতা দিতে সমন্বিত আইন করতে হবে।

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রিকরণ নীতি ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত আইনের দাবিতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মানববন্ধনের আয়োজন করে গর্ভন্যান্স অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

এতে অংশ নিয়ে নাজমুল হক প্রধান এমপি বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের যখন খুশি তখনই বাদ দেওয়া যায়। এ ধরনের ক্ষমতাকেন্দ্রিক গণতন্ত্র চালু থাকলে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হবে না। তাই আইনের পরিবর্তন এনে সমন্বিত আইন করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট'র নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মনিটরিং অ্যান্ড ইভারলুয়েশন অফিসার ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়াও মানববন্ধনে ৪৫টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এরপর তারা একটি র্যালি বের করেন। র্যালিটি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।