কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একতলা ভবনের ছাদ। সেই ছাদে শামিয়ানা টাঙিয়ে বানানো হয়েছে অস্থায়ী ‘ঘোষণা মঞ্চ’।
আবহে বাজছে ভাষা আন্দোলনের ওপর রচিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর সেই অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
একুশের প্রথম প্রহর ১২টা এক মিনিট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয় ঘোষণা মঞ্চ। চলবে রোববার (২১শ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত। দুই ঘণ্টা পর পর আটজন করে ঘোষণার দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১৯৭৪ সাল থেকে চালু এ ঘোষণা মঞ্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবা রহমান। তিনি দ্বিতীয় বছরের মতো প্রথম প্রহর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ঘোষণা মঞ্চে।
এ প্রসঙ্গে হাবিবা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বোনা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ভাষা আন্দোলনে শহীদ হন অনেকে। ঘোষণা মঞ্চে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই সময় আমাদের সামনে নতুন করে ফিরে আসে একুশের চেতনা। প্রতি মুহূর্ত আমাদের কাছে নতুন হয়ে ফিরে আসে।
ঘোষণা মঞ্চের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে ঘোষণা মঞ্চে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন ৫২ জন শিক্ষক।
তাদের মধ্যে আরেকজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীও গর্বিত ঘোষণা মঞ্চে ঘোষণার দায়িত্ব পালন করতে পেরে।
এই ঢাবি শিক্ষক বলেন, ঘোষণা মঞ্চে দায়িত্ব পালন করা নিঃসন্দেহে একটি গর্বের দিন। মা মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা আজকের দিনে নিজের জীবন বিলিয়ে দেন। তাদের স্মরণ করতে আসা মানুষের নাম ঘোষণা করেও নিজেরে গর্বিত মনে হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
এমআইএস/এএ
** শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
** সর্বস্তরের মানুষের ঢল শহীদ মিনারে