ঢাকা: একুশ আমাদের অহংকার, জাতীয় চেতনা। এই চেতনা ধারণ করেই এগিয়ে যায় তারুণ্য।
গত রাতটি তাদের নির্ঘুম গেছে একুশের রাতটি জেগে থাকতে হবে বলে। শুধু জেগেই নয়, তারা এসেছে প্রভাতফেরিতে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে ফুলে ফুলে তৈরি হওয়া ‘একুশ আমার অহংকার’।
এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে তারা বানিয়ে এনেছে ‘২১ আমার অহংকার’। জনা বিশেক যুবক সপ্তাহখানেক শ্রম দিয়ে একুশের চেতনার সবটুকু ধারণ করে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে তবেই সাজিয়েছে এই শ্রদ্ধাঞ্জলির ডালি।
প্রজন্ম ১৪১৬’র সভাপতি সাঈদ প্রভাতফেরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
তিনিই জানালেন এই আয়োজনে তারা ব্যবহার করেছেন ৭ হাজার গাঁদাফুল। পাওয়া যাচ্ছিলো না। শাহবাগে দুই দফা লোক পাঠিয়ে পাওয়া গেলো পাঁচ হাজার। এরপর এ বাজার ও বাজার ঘুরে আরও দুই হাজার যোগাড় করা হলো। সব মিলিয়ে সাত হাজার ফুল দিয়ে লেখা হলো ২১ আমার অহংকার।
একুশকে চেতনায় ধারণ করারও অহংকার এই নতুন প্রজন্মের তরুণদের।
সাঈদ জানালেন, বাংলা ১৪১৬ সালে এই সংগঠনটির জন্ম। বর্তমানে সংগঠনটির প্রায় দেড়শ’ সদস্য রয়েছেন। প্রতিবছর তারা এই ব্যানারে শহীদ মিনারে আসেন। ভিন্ন কিছু করার, ভিন্নভাবে হাজির হওয়ার আগ্রহ ছিলো বরাবরই। গতবছর এসেছিলেন ‘২১ আমার চেতনা’ কথাটি নিয়ে। এবার এলেন ‘২১ আমার অহংকার’ নিয়ে। আগামী বছর হয়তো তারা হাজির হবেন অন্য কিছু, অন্য কোনো স্লোগান নিয়ে।
একুশই কেবল নয় প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখসহ জাতির গৌরবের অংহকারের আর চেতনার দিনগুলোতেই তারা হাজির হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
আরএইচএস/এএ