ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পূর্বাকাশে লাল সূর্যের অপেক্ষা...

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
পূর্বাকাশে লাল সূর্যের অপেক্ষা... ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাজশাহীতে এবার ভিন্ন আবহে পালিত হতে যাচ্ছে অমর একুশে।

সড়কের বুকে বাসন্তী রং আর বর্ণিল আল্পনা ইঙ্গিত দিচ্ছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।

দিনভর বিভিন্ন সড়কজুড়ে আঁকা হয়েছে আল্পনা। ফুলের দোকানে তৈরি হয়েছে ডালা। শহীদ মিনার ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। সব আয়োজন ও প্রস্তুতিই শেষ হয়ে এসেছে। এখন কেবল প্রভাতফেরির অপেক্ষা।

রোববার পূর্বাকাশে লাল সূর্য উঁকি দিতেই শহরজুড়ে লাখো কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হবে প্রভাতফেরির চির অম্লান গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...। ’

মহানগরের নিউমার্কেট এলাকার ফুল ব্যবসায়ী নূর আলম জানান, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ডালা তৈরির কাজ সামলাতে বর্তমানে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। শহীদ মিনারে আজ একুশের প্রথম প্রহরে যারা শ্রদ্ধা জানাবেন তাদের সন্ধ্যার মধ্যেই ডেলিভারি দেওয়া হয়। আর যারা প্রভাতফেরিতে যাবেন তাদের ডেলিভারি দেওয়া হবে রাত ১০টার মধ্যে। এজন্য সন্ধ্যার মধ্যেই ডালা তৈরির সব কাজ গুছিয়ে আনতে হয়েছে।

এদিকে, রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন এসব প্রস্তুতির কথা জান‍ান।

কর্মসূচি অনুযায়ী, রাজশাহী শহীদ মিনারে শনিবার দিনগত রাত ১২টা ০১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-আধাসরকারি ও বেসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঠিক নিয়মে, সঠিক মাপের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হবে।

রাজশাহী মহানগরীর সড়ক দ্বীপ ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সংস্থা ও সর্বস্তরের জনসাধারণ সকালে প্রভাতফেরিতে অংশ নেবে।

রাজশাহী শিশু একাডেমিতে সকালে চিত্রাংকন এবং বাংলায় সুন্দর হাতের লেখা; দুপুরে ভাষার গান ও দেশাত্মবোধক গান এবং রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

বাদ জোহর মহানগরের হেতেমখাঁ মসজিদ কমপ্লেক্সসহ সব মসজিদ ও সুবিধামতো সময়ে অন্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।

বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর মোড় ও সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।