বেনাপোল (যশোর): ভারতে পাচার হওয়া ১৪ তরুণীকে উদ্ধারের তিন বছর পর ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ উদ্ধারকৃতদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বেনাপোল থেকে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতি, যশোর রাইটস ও ওয়াল্ড ভিশন নামের তিনটি এনজিও তাদের পৃথকভাবে গ্রহন করে। এই এনজিওগুলোর মাধ্যমেই উদ্ধারকৃতরা তাদের পরিবারে ফিরে যাবে।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তানিয়া (১৫), যশোরের সুখি (১৬), সাতক্ষীরার আনোয়ারা (১৬), খুলনার নূর জাহান খাতুন (১৮), মাগুরার আসমা খাতুন (১৮), বরিশালের আখি আকতার (১৯), নড়াউলের শান্তা আক্তার আশা (১৭), খুলনার সুমাইয়া আক্তার (১৭), নড়াইলের সোনালী খাতুন (১৫), পাপিয়া (১৮), খুলনার বিউটি (১৭), যশোরের রুপালী (১৭), সাথি সুলতানা (২২) ও মুন্নি (০৩)।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধারকৃতদের এনজিও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তারাই অবিভাবকদের কাছে তাদের পৌঁছে দেবে।
যশোর রাইটস’র তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দারিদ্র্য ও সরলতার সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা কাজ দেওয়ার নাম করে এই ১৪ জনকে ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাদের বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত করার চেষ্টা করে তারা। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে মুম্বাইয়ের এনজিও সংস্থা ‘তালাশ’ তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরবর্তীতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রাভেল পারমিটে এরা ফেরত আসে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ফেরত আসা নারী অথবা তাদের অভিভাবকরা যদি পাচারকারীদের সনাক্ত করে মামলা করতে চান, তাহলে আইনি সহয়তা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫১ ঘন্টা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
আরএইচ