ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মাহফুজ আনামকে সাংবাদিকতা ছাড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
মাহফুজ আনামকে সাংবাদিকতা ছাড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: সাবেক সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে মাইনাস টু ফর্মুলার মাধ্যমে তাকে ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দুই পত্রিকার সম্পাদক জড়িত ছিলেন কি-না, প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম তাকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণে বার বার মিথ্যা সংবাদ ছাপছিলেন বলেও অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

এখন ভুল স্বীকার করায় তাকে সাংবাদিকতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

আত্মমর্যাদা থাকলে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম পদত্যাগ করতেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে গণতন্ত্র হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের যুদ্ধাপরাধীদের মতো বিচার করার কথাও বলেন তিনি।

সম্প্রতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডিজিএফআইয়ের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া ছেপেছেন বলে স্বীকার করেন।  

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দু’টি পত্রিকা ডিজিএফআইয়ের লিখে দেওয়া মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে সে সময় রাজনীতি থেকে আমাকে এবং খালেদাকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। আর ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য আমাকে বহু চেষ্টা করেছিলেন। তিনি স্বীকারও করেছেন, ডিজিএফআইয়ের চাপে তিনি সেসব নিউজ ছেপেছিলেন।

এখন ভুল স্বীকার করায় তাই তার পদত্যাগ করে সাংবাদিকতা থেকে সরে আসা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

মাহফুজ আনাম ও আরেকটি বাংলা দৈনিকের সম্পাদকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগ্রেডিয়ার আমিন, বারীর সঙ্গে তাদের কি সখ্যতা ছিলো? অথবা তারা কি এদের হাতে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন, যে যা দিতো তাই লিখতেন? অথবা মাইনাস টু ফর্মুলার যে ষড়যন্ত্র চলছিলো, রাজনীতি থেকে আমাকে এবং খালেদা জিয়াকে চিরদিনের জন্য বিদায় দেবে সে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ওই সম্পাদক দু’জন জড়িত ছিলেন। কোনটা সত্য? যদি বুকের পাটা থাকে জাতির কাছে স্বীকার করুন’।

মাহফজ আনামকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পাদক সাহেব তিনি ডিজিএফআইয়ের লেখা ছাপিয়ে ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেছন। … কই তিনি ভুল স্বীকার করে পদত্যাগ করার সাহসতো দেখাতে পারলেন না। এতোটুকু আর্ত্মমর্যাদা থাকলে নিশ্চয়ই তিনি পদত্যাগ করতেন’।


বিবিসির উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতোদূর মনে পড়ে, কিছুদিন আগে একবার ব্রিটিশ কোনো মন্ত্রী বা এমপির বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা প্রচার বিবিসি করেছিলো। যখন প্রমাণ হলো এটা মিথ্যা, তখন তারা শুধু ক্ষমাই চাইলো না বিবিসির মহাপরিচালক থেকে শুরু করে যারা সংবাদ পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত তারা সকলেই পদত্যাগ করেছিলেন। তাদের সৎ সাহস ছিলো, পদত্যাগ করেছেন’।

বিশ বছর ধরে ওই দু’টি পত্রিকা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা লিখেই চলেছে বলেও অভিযোগ শেখ হাসিনার।   তিনি বলেন, ‘গোটা বিশটা বছর আমার রাজনৈতিক জীবনে এই পত্রিকা দু’টি শুধু আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে গেছে, আমার বিরুদ্ধে লিখে গেছে। আওয়ামী লীগ যেন তাদের শত্রু’।

‘পত্রিকা দুটির মুখোশ উন্মোচন হয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘আমাকে দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো, প্রতিদিন পত্রিকায় একটা না একটা লেখা যে, দুর্নীতিবাজ আমাকে বানিয়েই ছাড়বে। আমি সেই সম্পাদক মাহফুজ আনামকে একটা কথাই বলবো, আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে বহু চেষ্টা করেছেন। আপনি তো আপনিই, আপনার পিতৃতুল্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, তারাও তো দুর্নীতিবাজ বানাতে চেষ্টা করে পারে নাই। পদ্মাসেতু দুর্নীতি নিয়ে যখন কথা উঠে ছিলো, তখনতো কতো বড় বড় কথা। ভাবখানা এমন যে এতোদিন পাই নাই, এবার ধরে ফেলেছি। কিন্তু তারা পারেনি, সত্য চাপা থাকে না’।

১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য ওই দু’টি পত্রিকা উঠে পড়ে লেগেছিলো মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই পত্রিকার সম্পাদকদের একজন ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন, ডিজিএফআই যা দিতো তাই লিখে দিতেন’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের আমলে ডিজিএফআই খুব শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিলো। যে প্রশ্নটা কেউ করেননি, তা আমি করেছিলাম। দেশ চালায় কে? সরকার প্রধান কে? ওই ডিজিএফআইয়ের দুই ডাইরেক্টর বিগ্রেডিয়ার আমিন আর বিগ্রেডিয়ার বারি তারাই হয়ে গিয়েছিলেন হিরো। তারাই মনে হয়েছে, দেশ চালাতেন। দেশটা যেন তাদের হাতে’।

‘শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ সকলেই তখন নির্যাতিত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে টাকা নেওয়া, অনেকে দেশছাড়া, অনেকে বন্দি’।

সত্য কখনো চাপা থাকে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের এসবে এর মদত দেওয়ার জন্য বিগ্রেডিয়ার আমিন আর বিগ্রেডিয়ার বারি যে কাগজ ধরিয়ে দিতেন, সেই কাগজই এই সম্পাদক সাহেব লিখে দিতেন পত্রিকায়। এ কথা তিনি স্বীকার করে গেছেন। সত্য কখনো চাপা দেওয়া যায় না। এক সময় বের হয়ে আসে’।

পত্রিকা দু’টির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পত্রিকার ওপরই তো লেখা নির্ভীক সাংবাদিকতা। তাহলে নির্ভীক সাংবাদিকতা কাকে বলে? এতোই নির্ভীক যে ডিজিএফআইয়ের আমিন, বারির ধরানো কাগজ লিখে দিতেন’।

‘ডিজিএফআই বা আমিন-বারির দালালি করা যাদের চরিত্র তারা দেশের মানুষকে কি দেবেন? এতোদিন যা লিখে সততার একটা ভাব দেখিয়েছিলেন, যা লিখেছেন, সবই ভেজাল, সবই অসত্য, মিথ্যা এবং দেশকে ধ্বংস করার’।

ষড়যন্ত্র ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেইলি স্টারের মতো একটা পত্রিকা ডিজিএফআই যা দেবে তাই ছেপে দেবে, এটা কোন পাগল বিশ্বাস করে? ডেইলি স্টার তার ভাষা সর্ম্পকে খুবই সচেতন। ডিজিএফআইয়ের লোকেরা তাহলে আরো বেশি জ্ঞানী, আরো উচ্চমানের। এজন্য তারা যা লিখে দিয়েছেন, তাই তিনি একেবারে সুবোধ বালকের মতো ছাপিয়ে দিয়েছেন’।

ষড়যন্ত্রের বিচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি ভয়ে লিখেছেন, তাহলে আর নির্ভীক সাংবাদিকতা লিখতে পারেন না। আর যদি তাদের কাছে বিক্রি হয়ে থাকেন বা তাদের সঙ্গে সখ্যতা থাকে সেখানে আমার কিছু বলার নেই। আর যদি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীদের এই দেশে বিচার হবে। যারা গণতন্ত্র হত্যা করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী, এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, দেশের মানুষকে নির্যাতনের শিকার করেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হচ্ছে, ঠিক একদিন এদেরও বিচার হবে’।

ওয়ান-ইলেভেনে কারা ইন্ধন দিয়েছেন, প্রশ্ন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিনা ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করে সলিটারি কনফাইনমেন্টে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিলো না। অথচ বাসা সার্চ করা হয় দুই দুইবার। গ্রেফতারের সময় তার অসুস্থ স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। কারাগারে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসা করানো হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর টেনে-হিচড়ে যেভাবে আমাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেখানে স্যাঁতসেঁতে ঘরে তাকে থাকতে দেওয়া হয়। ছেড়া কম্বলে তার গায়ে অ্যালার্জি উঠে যায়, চোখে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর পরীক্ষা করে চিকিৎসক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও তাকে কারাগারেই পাঠানো হয়।

‘একটা ড্যাম পড়া ঘর। ইঁদুরে কাটা চাদর, ভাঙা খাট, ওর মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছিলো। চোখে অসুখ হয়ে গেলো, চোখে ইনফেকশন হয়ে গেলো। আমাকে ডাক্তার দেখাতে দেয় নাই। খাবার আসতো জেলখানা থেকে কোনো কোনো দিন ৩টা বেজে যেতো, ৪টা বেজে যেতো। তারপর সেখান থেকে খাবার আসতো। বাইরে থেকে কিছু নিতে দিতো না। যতোদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া গ্রেফতার না হয়েছেন ততোদিন পর্যন্ত খাবার আসতো না’- বলেন তিনি।
   
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে সলিটারি কনফাইনমেন্টে একা, কারাগারে কোনো শাস্তিপ্রাপ্ত আসামিকেও এক সপ্তাহের বেশি সলিটারি কনফাইনমেন্টের রাখতে পারে না। আর এগারটা মাস আমি সেখানে। সেখানে ঈদের দিনে কেবল স্বামী ও ফুফুকে দেখা করতে দিলেও তাদের বলে দেওয়া হয়েছিলো, মিডিয়ার সামনে মুখ না খুলতে।

‘কিন্তু আমার ফুফুও বঙ্গবন্ধুর বোন, তিনি নিজের বাড়িতে সাংবাদিক ডেকে যখন কারাগারের ভেতরের পরিস্থিতি জানান, তখন আমার চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে ডাক্তাররা আমার পরীক্ষার জন্য রক্ত নিতে চাইলে তখনই আবার আমাকে জেলখানায় ভরে দিলো’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তাকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তবে সে কারণে দেশের ক্ষতি হয়েছে, দেশবাসীকে কষ্ট করতে হয়েছে, বিপাকে পড়তে হয়েছে দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের, আর তার নিজের ও পরিবারের ক্ষতিতো হয়েছেই।

শেখ হাসিনা বলেন, এদের বিচারের ভার আমি দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিলাম।

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ১৬টা মামলা আমার বিরুদ্ধে তখন। যারা মামলা দেওয়ার জন্য এতো বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এগারো মাস যদি আপনাদের সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়? আমার ছেলে-মেয়ে বোন, তাদের ওপর অত্যাচার, মানসিক চাপ। আপনাদের পরিবারের প্রতি যদি এ রকম করা হয়, তাহলে কি আপনারা বিবৃতি দিতেন?

তিনি বলেন, এদের ক্ষমতালিপ্সা দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছিলো। আজকে তাদের হয়ে এতো বিবৃতি। একটু মামলাই ঘাবড়ে গেলেন। যদি এগারো মাস জেলের সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয় তাহলে কি হতো?

৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময়কার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন, এই নির্বাচন যাতে না হয় তখন ওই পত্রিকা দু’টির কি ভূমিকা ছিলো, সেটা আপনারা বিচার করবেন। তারপর নির্বাচন যখন করে ফেললাম, আমি জানি, তাদের মধ্যে হতাশা। হতাশা ছিলো, একটা পতাকা পাবেন, তা আর হলো না।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মাহফুজ আনামের অবস্থানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যিনি আজ ডিজিএফআইয়ের কথা লিখেছেন বলে স্বীকার করেছেন তার ইতিহাস যদি বলি, মু্ক্তিযুদ্ধের সময় আমরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ছিলাম। আমাদের সবার পড়াশোনা নষ্ট হয়েছে। কিন্তু ওই সম্পাদক সাহেব করাচিতে চলে গিয়েছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে তার পড়াশোনা যেন নষ্ট না হয়। যেকোনো কারণে তিনি সেখানে না থেকে পরবর্তীতে চলে যান কলকাতায়। একটু ইংরেজি জানতেন বলে তার ওপর দায়িত্ব পড়ে ইংরেজি লেখার। এই হলো মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযোদ্ধা তিনি।

বাংলাদেশের ‍উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ উচ্চ স্থানে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এটা করেছে আওয়ামী লীগ। তাদেরকে সহযোগিতা না করে, তাদের পক্ষে না লিখে নানা রকম ঘোঁট পাকানোর চেষ্টা, আল্লাহর রহমতে সে চেষ্টা সফল হবে না। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ ‍উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপ প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এমইউএম/টিআই/এএসআর

** বাংলাদেশের সব অর্জন ত্যাগের মাধ্যমেই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।