ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিমানবন্দরে তিন মাসে ৩৬ লাগেজ খোয়া গেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
বিমানবন্দরে তিন মাসে ৩৬ লাগেজ খোয়া গেছে ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: গত তিন মাসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৬টি লাগেজ খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। যাত্রীদের লাগেজ বা ব্যাগেজ হারানো একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

বিষয়টি কারোরই কাম্য নয় বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন রাশেদ খান মেনন।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রীদের ব্যাগেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা খোয়া যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যাত্রীদের মালামাল পরিবহনকালে হ্যান্ডলিং সীমাবদ্ধতার কারণে কদাচিৎ ভুল গন্তব্যে যাওয়া বা শনাক্তহীন হিসেবে যাত্রাস্থলে থেকে যায়। এসব ব্যাগেজ সবসময়ই একশত ভাগ সিস্টেমের মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটনাগুলোর আর্ন্তজাতিক ব্যাগেজ ক্ষতিপূরণ নিয়মানুযায়ী নিষ্পত্তি করা হয়।

মন্ত্রী জানান, শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রীর ২৫ থেকে ৩০ হাজার ব্যাগ বহন করা হয়ে থাকে। এই বিশাল কার্যক্রমে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এ সব ঘটনা অবশ্যই কাম্য নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ জাতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

বিগত তিন মাসের লাগেজ হারানোর পরিসংখ্যান তুলে ধরতে মন্ত্রী জানান, জানুয়ারি ২০১৬ সালে ১৩টি এবং ২০১৫ সালের নভেম্বরে ৯টি ও ডিসেম্বরে ১৪টি লাগেজ হারানো গেছে।

সরকার দলীয় আরেক সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে স্পর্শকাতর স্থান বা এলাকাসমূহে মোট ১৯০টি ডিজিটাল সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরে আগত সব যাত্রী ও অতিথিসহ এখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচল ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হয়।

এছাড়াও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক টার্মিনাল এবং বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত ১২০টি সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে এলাকায় তিনটি সার্ভিল্যান্স ক্যামেরাও বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।