ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে ১০০ নম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে ১০০ নম্বর

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে ১০০ নম্বর রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক।
 
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে হুইপ শহিদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।


 
তিনি বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় বাংলাদেশের ২৩ বছরের মুক্তি সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একশত নম্বর রাখার কার্যক্রম চলছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কথা যাতে আমাদের পরর্বর্তী প্রজন্ম স্মরণ রাখে সেজন্য পাঠ্যসূচিতেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় রাখা হবে।
 
শামসুল হক ভুঁইয়ার (চাঁদপুর-৪) অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আগরতলা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা আজকে বিতর্ক করেন, স্বাধীনতার ঘোষণা কী? আগের ২৩ বছরের ইতহাসকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কথা ভাবা যায় না। কারণ ইতিহাসের অত্যন্ত একটি মাইলফলক হলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তাই এ ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর সাথে যারা অভিযুক্ত ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে সে সময় অভিযোগ আনা হয়েছিল, নিঃসন্দেহে তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা হবে। সেই স্বীকৃতি তারা পাবেন।
 
আগে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সুস্পষ্ট সংজ্ঞা ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বর্তমান সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা নির্ধারিত করেছে। এতে যারা ১৯৭১ সালে মহান জাতীয় সংসদের এমএলএ-এমএলএন ছিলেন। এর মধ্যে যারা পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছিলেন সেই কয়েকজন গাদ্দার ছাড়া বাকি সব মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
 
এছাড়াও মুজিবনগর সরকারের যত কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রীয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যারা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেছেন, যারা সাংবাদিকতা করেছেন, যারা স্বাধীন বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেছেন, যারা শিল্পী ও কলাকুশলী ছিলেন- তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। এমনকি যারা ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন তারাও বিবেচিত হবেন।
 
অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে নির্মাণ করা হবে। যেন পাশ দিয়ে গেলেই মানুষ বুঝতে পারে- এখানে কোনো মুক্তিযোদ্ধা ঘুমিয়ে আছেন। এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ/

** মির্জা ফখরুলের বাবা যুদ্ধাপরাধী
** শহীদ মিনারকে অপমান বিএনপির ষড়যন্ত্রের অংশ
** প্রতি জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১০ হাজার ফ্ল্যাট
**  জমির মালিকরা সনদ পাবেন
** বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে ১৪৪৬ কোটি টাকার ভূমি খাজনা বাকি
** বিমানবন্দরে তিন মাসে ৩৬ লাগেজ খোয়া গেছে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।