বগুড়া: পশুচিকিৎসক কামরুজ্জামান নান্নুর মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পরেও দুই থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের কারণে এখনও মামলা দায়ের হয়নি।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দুই থানার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন তথ্য জানা যায়।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমীত কুন্ডু বাংলানিউজকে জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কামরুজ্জামান নান্নু নিখোঁজ হন। পরদিন নিহতের বাবা কমর উদ্দিন মজনু এ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর শিবগঞ্জ এলাকা থেকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তাই এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা হবে। নিহতের বাবা অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে, শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) কামরুজ্জামান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কাহালু থানা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। হয়তো সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় দুর্বৃত্তরা হত্যার পর তার মরদেহ শিবগঞ্জ থানায় রেখে যায়। এছাড়া নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই থানায় জিডিও করা হয়েছে। অতএব এ ঘটনায় কাহালু থানায় মামলা হবে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে তারা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছেন। কাহালু থানা পুলিশকে সেই মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানেই তাদের দায়িত্ব শেষ। এরপর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ওপর।
এর আগে, নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার ছাতুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পশুচিকিৎসক কামরুজ্জামান নান্নুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
এমবিএইচ/ওএইচ/এসএস