ঢাকা: নগরীর গণ শৌচাগারগুলো আধুনিয়কায়ন করার লক্ষ্যে গত তিন মাসে বেশ কয়েকটি স্থানে কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রকল্পের আওতায় আগামী মে-জুনের মধ্যে এসব শৌচাগার করে তোলা হবে ব্যবহার উপযোগী।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, উত্তর সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে অবিভক্ত সিটি থাকাকালে যেসব টয়লেট করা হয়েছিল তা দিয়েই চলছে শৌচকর্ম। মাস ছয়েক আগে গণশৌচাগার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন মেয়র নিজেই, তার প্রচেষ্টা এবং এইচএনএম কনসাস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় উত্তর সিটিতে বেশ কয়েকটি জায়গায় নির্মিত হচ্ছে নতুন শৌচাগার। এর মধ্যে সাতরাস্তা ও নাবিস্কো মোড়ে সম্পন্ন হওয়া দুটি শৌচাগার ১৮ এপ্রিল বিকেলে মেয়র আনিসুল হকের উদ্বোধন করার কথা।
এছাড়া সাতরাস্তা ট্রাকস্ট্যান্ড, ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, মহাখালী ওয়াসা পাম্প, গুলশান-২ এর ডিএনসিসির ইউসেফ মার্কেট এবং মিরপুর চিড়িয়াখানা এলাকায় তৈরি হচ্ছে নতুন পাঁচটি শৌচাগার। তবে আরও দুটি স্থানে শৌচাগার নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হলেও জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও জানা গেছে, রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দৃষ্টিনন্দন আধুনিক শৌচাগার নির্মাণের পর থেকে সর্ব সাধারণের ভালো সাড়া পাচ্ছে সিটি কর্তৃপক্ষ। জনগণের সাড়া পাওয়ায় নগর কর্তৃপক্ষও আরও শৌচাগার তৈরীর উদ্যোগ নিচ্ছে।
একে একে নতুন করে সাজানো হবে নগরীর সব শৌচাগার, যেখানে থাকবে আধুনিকতার ছোঁয়া। নব নির্মিত এসব শৌচাগারের প্রতিটিতেই থাকছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ছয়টি পয়ঃ ব্যবস্থা। এছাড়া বিশেষভাবে সক্ষমদের (প্রতিবন্ধী) জন্য রয়েছে বিশেষ সিঁড়িযুক্ত আলাদা একটি পয়ঃব্যবস্থা। এ শৌচাগার ব্যবহারের জন্য ত্রিশ টাকা দিয়ে নিতে হবে চাবি এবং শৌচকর্ম শেষে পাঁচ টাকা রেখে বাকী টাকা ফেরত দেবে কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি শৌচাগার ব্যবহারকারী প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য থাকবে লকার সিস্টেম।
মেয়র আনিসুল হক শুরু থেকেই যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তার মধ্যে গণ শৌচাগারের আধুনিকায়ন উল্লেখযোগ্য। এ লক্ষ্যে চার মাস আগে গুলশানে একটি হোটেলে ব্যবসায়ী এবং সিএনজি ও পেট্রোল পাম্প মালিকদের নিয়ে আলোচনা সভারও আয়োজন করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে মেয়রের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সাতটি পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে গণ শৌচাগার নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। যেগুলোর একটির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং বাকীগুলোর মধ্যে তেজগাঁও সিএনজি স্টেশন ও নাভানার কয়েকটি সিএনজি পাম্পে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উত্তর সিটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড.তারেক বিন ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন গণ শৌচাগার নির্মাণের জন্য কয়েক জায়গায় কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই এসব কাজ শেষ হবে। চলামন কাজগুলো শেষ হলেই নতুন কাজে হাত দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
এমআইকে/এইচআর/জেডএম