ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকা মহানগরীর প্রায় দুই কোটি নাগরিকসহ ভিআইপি এবং দেশি-বিদেশি ব্যক্তিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এই ইউনিট।
তাই ভিআইপিদের নিরাপত্তায় ডিএমপির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও যানবাহন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সাতটি প্রোটেকশন জিপ ও ২৫টি পেট্রোল কারও রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ডিএমপি’তে ৪৯টি পুলিশ স্টেশন রয়েছে এবং আরও ১০টি নতুন পুলিশ স্টেশন স্থাপন করা হবে। এ অবস্থায় ডিএমপির জন্য জিপ, ডাবল কেবিন পিক আপ, পেট্রোল কার, মোটরসাইকেল, মিনিবাস, ট্রাক ও মিনি ট্রাক সংগ্রহ করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও পরিকল্পনা) মহিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বেশ কিছু পরকিল্পনা ও প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপারেশন সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ডিএমপির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ডিএমপির জন্য ১০০ মোটরসাইকেল (২৫০ সিসি), ২০০ মোটরসাইকেল (১৫০ সিসি), ২০ মিনিবাস, ৫০ ট্রাক, ৫০ বাস, ২০ প্রিজনার্স ভ্যান, ১০ জিপ ও ২টি ভ্যান কেনা হবে। পাশাপাশি ১৮৮টি ডাবল কেবিন পিকআপও কেনা হবে। যানবাহনগুলো চালানোর লক্ষ্যে এক হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মেরামতের জন্যও একটি মোটর ওয়ার্কশপ স্থাপন করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপারেশন সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এই উদোগ নেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় করা হবে ২০০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মেয়াদেই যানবাহনগুলো কেনা হবে বলেও জানান মহিবুল হক।
তিনি জানান, প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন-পুলিশের অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও পুলিশের সেবার মান বৃদ্ধি করা হবে। যাতে করে ভিআইপি এবং জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) আখতার হোসেন ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে পুলিশ সদস্যদের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম। ডিএমপিতেও একই অবস্থা। সেই লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় ডিএমপিতে নুতন কিছু যানবাহন কেনা হবে। যাতে করে ডিএমপির সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অপারেশনাল দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
এমআইএস/এমজেএফ/