ঢাকা: ঢাকা শহরে ৫৫ লাখ মানুষের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ৬৯টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি টয়লেট ব্যবহার উপযোগী-যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার এ স্যানিটেশনের চাহিদা পূরণ করতে পারে মোবাইল টয়লেট। একই সঙ্গে নগরীর পরিবেশ দূষণও রোধ হবে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মোবাইল টয়লেট সেবার ওপর পরামর্শমূলক সভায় এ তথ্য উঠে আসে।
সভার অায়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর রিয়েলাইজেশন অব বেসিক নিডস্ (অারবান)।
এতে আরবানের সমন্বয়কারী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নগরী। গবেষণায় দেখে যায়, ঢাকায় প্রতিদিন ৫৫ লাখ মানুষের পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম। যেগুলো রয়েছে সেগুলো আবার লিজ প্রথার মাধ্যমে দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে নারীবান্ধব, স্বাস্থ্যকর নয়।
তিনি বলেন, স্যানিটেশনের এ সমস্যা ঢাকা সিটির পরিবেশকে আরো সংকটময় করে তুলছে। পাবলিক টয়লেট সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে মোবাইল টয়লেট অপরিহার্য। ইতিমধ্যে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি এলাকায় মোবাইল টয়লেট রয়েছে- সেগুলোতে মানুষের চাহিদা ও আগ্রহ দিনদিন বেড়ে চলছে। এজন্য মোবাইল টয়লেট ব্যবহারে জনমত সৃষ্টি করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমরা বড় বড় বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেই, ছোট ছোট বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। টয়লেটের বিষয়টাও অনেকটা সে রকম। ঢাকা শহরের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য পরিবেশবান্ধব টয়লেট ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টয়লেট সেবা এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে হবে। টয়লেট সেবাকে জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে নিতে হবে। এতে পরিবেশ দূষণ রোধ করা যাবে।
এসময় সংশ্লিষ্টদের জনগণকে মোবাইল টয়লেট ব্যবহার করার উৎসাহ দিতে জনমত সৃষ্টি করে সচেতন করার অাহ্বান জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোবাইল টয়লেটের প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ মেজবাহ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
এমসি/জেডএস