মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় কিডনি চোর সন্দেহে বাবা ও ছেলেকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে গাংনী শহরের ঝিনেরপুলপাড়া এলাকার ফাতেমা নার্সারির মালিক সিরাজুল ইসলাম ওরফে ভিকু (৭০) ও তার ছেলে হজরত আলীকে (৩৫) গাংনীর সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের বাড়ির সামনে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
এরআগে গাংনী বাজারপাড়া এলাকার মৃত রাহাত আলীর ছেলে গোলাম হোসেন (২৮) ও শিশিরপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ আলীর ছেলে আতিয়ার রহমানের (৪৫) কিডনি নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে রাজশাহী থেকে ধরে আনা হয়।
এদিকে, রাজশাহীর মেরি স্টোপস ক্লিনিকের একটি কক্ষ থেকে গোলাম হোসেন ও আতিয়ার রহমানকে উদ্ধার করেছে পরিবারের লোকজন। আতিয়ার পেশায় ভ্যান চালক ও গোলাম হোসেন মানসিক প্রতিবন্ধী।
গোলাম হোসেনের ভাই শ্যামলী পরিবহনের চালক আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে গোলাম হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী পুলিশে কর্মরত গাংনীর এক বাসিন্দার মাধ্যমে খবর পেয়ে রাজশাহীর মেরি স্টোপস ক্লিনিকের কক্ষ থেকে গোলাম হোসেন ও আতিয়ারকে উদ্ধার করেন। পরে সেখান থেকে পুলিশের সহায়তায় ভিকু ও তার ছেলেকে ধরে নিয়ে আসা হয়।
ভ্যান চালক আতিয়ার জানান, কাশেম ও গোলাম হোসেন এবং তাকে এক বস্তা চাল, দুই হাজার টাকা ও একটি করে লুঙ্গি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালীতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনে নিয়ে যায় ভিকু। পরে সন্ধ্যায় সেখান থেকে তাদের ট্রেনে করে রাজশাহীতে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিকু ও তার ছেলে হজরত ওই তিন গ্রামবাসীকে কৌশলে রাজশাহীতে নিয়ে কিডনি চোর চক্রের হাতে তুলে দিতেন।
এ বিষয়ে মেহেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আটক বাবা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এসআর