রাজশাহী: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, সরকার সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে যাতে উন্নত বিশ্বের কাতারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনাকে আরও ঢেলে সাজানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্তারাঁয় ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একথা বলেন।
এ সময় রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ১৯৯৬ সালে এদেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন আমরা উদ্বৃত্ত চাল বিদেশে রফতানি করতে পারছি। এ দেশে হতদরিদ্রের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। যা বর্তমানে ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির মাধ্যমে হতদরিদ্রের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা বিধানে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিভাগীয় কমিশনার আবদুল হান্নান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জামাল হোসেন।
সভায় জানানো হয়, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এ স্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার ৬৭টি উপজেলার ৫শ’ ৬৫টি ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত সাত লাখ ১৮ হাজার ২৯১টি পরিবারের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৭১ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এসএস/এসএইচ