রাজশাহী: আখের দাম বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উত্তরবঙ্গ আখ চাষি সমিতি।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নয় দফা দাবি তুলে ধরেন উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখ চাষি সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক বাবু সুকুমার সরকার। উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, রাজশাহী সুগার মিল আখ চাষি সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখ চাষি সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, নাটোর সুগার মিল আখ চাষি সমিতির সভাপতি আবদুল করিম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, চিনি বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। চিনি শিল্পের সঙ্গে দেশের কৃষকরা সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই যারা চিনি শিল্পকে ধ্বংসের কাজে লিপ্ত তাদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। আমি আশা করি সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা বাকী দাবিগুলো হচ্ছে- সুগার মিলের গেটে আখ ক্রয় কেন্দ্র ও ওজন যন্ত্র স্থাপন করতে হবে, অনিয়ম ঠেকাতে কমিটি গঠন করতে হবে, সার মিলের গুদাম থেকে চিনি মিলের গুদামে সরাসরি সার দিতে হবে, চাষিদেরও চিনি দিতে হবে, আখের ঘাটতি মূল্য ১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা নির্ধারণ করতে হবে, বিনা খরচে চাষিদের আখ খালাসের ব্যবস্থা, চাষিদের ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়া এবং আখ মাড়াই অধ্যাদেশ প্রণয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তর বঙ্গ চিনিকল আখ চাষি সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক বাবু সুকুমার সরকার বলেন, বাংলাদেশ চিনিশিল্প করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন জোর করে নানা সমস্যা চাষিদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এতে আখ চাষি ও চিনি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ বর্তমান সরকার কৃষক, কৃষি ও শিল্পবান্ধব সরকার।
শুধু একেএম দেলোয়ার হোসেনের একক সিদ্ধান্তের কারণে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই ওই পদে রাখা না রাখার বিষয়টি বিবেচনার জন্যও এখন সময় এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এসএস/এসএইচ