নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবসের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির গণশুনানি দ্বিতীয়দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন গণশুনানিতে ১২ জনের বক্তব্য নিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে কমিটির কাছে তাদের সাক্ষ্য নেওয়অ হয়। সকালে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন শিক্ষক শ্যামল কান্তিও।
এদিকে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও এলাকাবাসী পৃথক তিনটি আবেদন দিয়েছেন তদন্ত কমিটির কাছে।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোপীনাথ দাস জানান, আলাদা লিখিত বক্তব্য তদন্ত কমিটির কাছে পেশ করা হয়েছে।
তবে কী আছে সেটা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
একই কথা জানিয়েছেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকারও।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সার্কিট হাউজে আসেন ঢাকা সিএমএম আদালতের চিফ ম্যাজিস্ট্র্রেট হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও গোলাম নবী।
সাড়ে ১০টায় প্রবেশ করে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে বেরিয়ে যান শ্যামল কান্তি ভক্ত। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যে অপমান করা হয়েছে, তা আপনারা দেখেছেন। আমি সেটার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। ’
সার্কিট হাউজ থেকে বের হওয়ার পর কড়া নিরাপত্তায় শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
শ্যামল কান্তি ছাড়াও ওইদিন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন জেলা পুলিশের এএসপি (ক অঞ্চল) আবদুল্লাহ আল মাসুদ, বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল আমিন, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, স্কুলের সাবেক সদস্য মোবারক হোসেন, কল্যান্দী এলাকার দোকানি শাহীন ও সামসুজ্জামান।
এর আগে গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) ঘটনাস্থল বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে যে ছাত্রকে নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সেই রিফাত হাসানসহ ১৯ জনের বক্তব্য শোনেন কমিটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমএ/