বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় অস্ত্র ও হাতবোমাসহ আটক চার জেএমবি সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপর সোয়া ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাগেরহাটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফ আকরামের আদালতে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।
পরে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে জবানবন্দি বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এরআগে দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের কচুয়া থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনসার উদ্দিন একটি এবং আইসিটি, অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই ও মামলার বাদী গাজী ইকবাল হোসেন দাবি করেন, আটকরা বাগেরহাটে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
এসআই জানান, আটক হওয়া আকাশ মোল্লা ওরফে বাবু (১৯) কচুয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। প্রায় দুই বছর আগে নিজ বাড়িতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে তিনি আহত হয়েছিলেন।
হাবিবুল্লাহ শেখ (১৮) পিরোজপুরের কেয়ামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
মিজানুর রহমান হাওলাদার (২৬) পিরোজপুরের দূর্গাপুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পাশ করেছেন।
অপরজন কবিরুল ফরাজী (২৯) পেশায় আইনজীবীর সহকারী। তিনি চার বছরেরও বেশি সময় ধরে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি। উচ্চ ক্ষমতার এই বোমাগুলো ‘সকেট বোমা’ নামে পরিচিত। এ বছরের প্রথম দিকে তারা বাগেরহাট শহর সংলগ্ন দড়াটানা সেতুর পূর্ব প্রান্তে নদীর পাড়ে এ ধরণের একটি বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর জেলাসহ পাঁচটি জেলা নিয়ে জেএমবির একটি সাংগঠনিক এলাকা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এসআর
** বাগেরহাটে জেএমবির ৪ সদস্য আটক
** বাগেরহাটে আটক জেএমবি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা