ঢাকা: দেশের ইতিহাসে এই প্রথম মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের ঘর অতিক্রম করলো। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চূড়ান্ত জিডিপি অর্জিত হয়েছে ৭.১১ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) রিপোর্ট পেশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
রেকর্ড জিডিপি অর্জন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই অর্জন দেশের সবার অর্জন। দেশের প্রতিটি স্তরে প্রতিটি মানুষ ভালো কাজ করার জন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে আগামীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ অর্জনের জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.১১ অর্জনে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আগামীতে আট শতাংশ অর্জনে সবাইকে এখন থেকেই কাজ করতে বলেছেন। এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছেন। এই লক্ষ্যে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এদিন আট হাজার ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটিসহ নয় হাজার ৪শ ৪৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে একনেক সভা।
অনুমোদন পাওয়া ন্য প্রকল্পগুলো হলো, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালীকরণ, এই প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩শ ৪৬ কোটি টাকা। ২৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএএফএ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়।
ঢাকা সিএমএইচএ ক্যানসার সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা। ২শ ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজিবি সদর দফতর, পিলখানা, ঢাকায় অফিসার অন্যান্য পদধারী এবং কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারা বাজার সড়কের ছাতকে সুরমা নদীর ওপর সেতুর অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ ১৩ কোটি টাকা।
১শ ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প এবং দেশের তিন উপকূলীয় জেলার চার স্থানে আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
আড়িয়াল খাঁ নদ ভাঙন থেকে হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতু সংলগ্ন ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক রক্ষা প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান শত্রু হতদরিদ্র। এই দারিদ্র্যতা বিতাড়িত না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্পটি চলবে। তবে দেশের দারিদ্রতা দূর করতে আর খুব বেশি সময় লাগবে না। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমআইএস/এসএনএস