ঢাকা, শনিবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই ইসির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই ইসির

ঢাকা: আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে, এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রস্তুতিই সম্পন্ন করতে পারেনি সংস্থাটি।

জেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রথমবার নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে দেবে সরকার। সে অনুযায়ী সোমবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, আচরণ বিধিমালা, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনী উপকরণ ক্রয়সহ কোনো প্রস্তুতিই নেই সংস্থাটির। প্রায় দুই মাস ধরে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করলেও শেষ করতে পারেনি ইসি। ফলে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসার পর মঙ্গলবারই (২৫ অক্টোবর) তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি।  

এক্ষেত্রে নির্বাচন বিধিমালা আগামী ২৭ অক্টোবরই চূড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজেও হাত দিয়েছে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা। তবে, এই তড়িঘড়ির ফলে কোনো ভুল না আবার হয়ে যায়, এমন শঙ্কাও করছেন অনেক কর্মকর্তা। তড়িঘড়ি করে বিধিমালা প্রণয়ন করতে গিয়ে নবম পৌরসভা নির্বাচনের সময় বেশকিছু ভুল করেছিল সংস্থাটি।

সংস্থাটির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন। এর মধ্যে সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করা যাবে। তাই বিধিমালা প্রণয়নসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ’

দেশের স্থানীয় সরকারগুলোর মধ্যে কেবল জেলা পরিষদ নির্বাচনই ব্যতিক্রম। এক্ষেত্রে একটি জেলার অধিনস্ত যেসব স্থানীয় সরকার থাকবে অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা আর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরাই এ নির্বাচনের ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন জেলা পরিষদের ১ জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং ৫ জন সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য।
 
এছাড়া নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রও স্থাপন হবে আলাদা কায়দায়। ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ নির্বাচনে ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার বিধানটিও যুক্ত করা হচ্ছে এ নির্বাচনের বিধিমালায়।

অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রথমে ফরম পূরণে করে স্ক্যান করে তা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অনলাইনে দাখিল করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূলকপিসহ বাছাইয়ের দিন স্বশরীরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে।

নির্বাচন কমিশন প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ভাগ করে ১৫টি ওয়ার্ড করবে। আর ভোটকেন্দ্র হবে ওয়ার্ডভিত্তিক। এক্ষেত্রে কোনো জেলায় যদি ৭টি উপজেলা থাকে। তবে প্রতিটি উপজেলায় সদরে হবে ২টি করে ভোটকেন্দ্র। আর যদি উপজেলার সংখ্যা ৩টি হয় তবে ভোটকেন্দ্র হবে ৫টি করে। অর্থাৎ ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটকেন্দ্র হলেও উপজেলার সংখ্যার ওপর অনুপাত নির্ভর করবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, সরকার আমাদের একটি চিঠি দিয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। আর আগামী ২৭ অক্টোবর বিধিমালা চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং (মতামত) এর জন্য পাঠানো হবে।

আইন মন্ত্রণালয় সে বিধিমালার ওপর কোনো আপত্তি না জানালে বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে ইসি। আর কোনো আপত্তি জানালে বা কোনো মতামত দিলে সে অনুযায়ী খসড়া বিধিমালা সংশোধন করে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে ইসি। এরপর মন্ত্রণালয়ের আবারও মতামত নিয়ে গেজেট করা হবে বিধিমালার।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবরে ২৬, ২০১৬
ইইউডি/পিসি


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।