ঢাকা: জাল টাকা তৈরির মূল কারিগর রফিকুল ইসলাম (৪০)। তিনি গত ১৫ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে জাল টাকা তৈরি চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি)।
আটকদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এসব তথ্য জানান ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন চক্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আটকরা হলেন- রফিকুল ইসলাম (৪০), জাহাঙ্গীর (৩৫), নিজাম (৩৫), শহিদ (২৭), মাস্টার আব্দুর রহিম (৩৭), জাকির (২০), মাহমুদ (৩২)।
আব্দুল বাতেন বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীর হাজীরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা চক্রের জাহাঙ্গীর, নিজাম ও শহিদকে আটক করা হয়। তারা জানান, জাল টাকা তৈরির মূল কারিগর রফিকুল।
পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিকসহ তার অন্য তিন সহযোগী মাস্টার আব্দুর রহিম, জাকির, মাহমুদকে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে জাল ৫৬ লাখ টাকা, জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৪টি ল্যাপটপ, ৭টি প্রিন্টারসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
জাল টাকার মূল কারিগর রফিকুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আব্দুল বাতেন জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে এই জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। রফিক একসময় জাল টাকার মাস্টার সগীরের সহযোগী হিসেবে ছিলেন। পরবর্তীতে মাস্টার জাকির, মাস্টার বাদশা, মাস্টার মুজিবের সঙ্গে তিনি ব্যবসা করতেন। তার তৈরি করা জাল টাকা সবচেয়ে নিখুঁত ও উন্নত মানের হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি।
জাল টাকা তৈরির কাগজগুলো তারা কোথায় পান, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, প্রিন্টিং প্রেসের কাছ থেকে তারা কাগজগুলো সংগ্রহ করেন। কারণ, কাগজগুলো বিদেশি ও খুবই উন্নত।
বাংলাদেশ সময় ১৪৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
পিএম/আরআইএস/এসএনএস