রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যা মামলায় তার রুমমেট মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মোকসেদা আসগর শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মহানগরীর মতিহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) অশোক চৌহান বাংলানিউজকে বলেন, সকালে মনিরুল ইসলামকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (১) হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ সম্ভব না হলে বৃহস্পতিবার থেকে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।
গত ২৩ অক্টোবর (রোববার) সকালে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান ওসি।
গত ২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশ থেকে লিপুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মাথার ডান পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিলো। ওই আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
মরদেহ উদ্ধারের পর ওইদিন সন্ধ্যায় লিপুর চাচা বশির আলী বাদী হয়ে মহানগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিপুর রুমমেট মনিরুল, বন্ধু প্রদীপ ও হলের দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মনিরুলকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ও প্রদীপকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
লিপুর বাবা ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু থানার মকিমপুর গ্রামের বদর উদ্দিন জানিয়েছেন, রুমমেট মনিরুল ইসলামের সঙ্গে লিপুর ভালো সম্পর্ক ছিলো না।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এক রুমে থাকলেও লিপুর সঙ্গে তার রুমমেটের খুব কম কথা হতো।
লিপুর মা বলেছেন, তাদের দু’জনের মধ্যে সম্প্রতি কথা বন্ধ ছিলো। তিনি লিপুর রুমমেট মনিরুলের সঙ্গে কথা বলে সম্পর্ক ঠিক করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মনিরুল কথা বলতে চায়নি।
তবে, কী কারণে তাদের মধ্যে কথা বন্ধ হয়েছিল তা জানেন না লিপুর মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এসএস/জিপি/এসএনএস