সিলেট: সিলেটে দুই শিশু হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন তাদের বাবা ছাতির আলী।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরআগে দুপুরে সাড়ে ১২টায় তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানী নগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার। বেলা দেড়টার দিকে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়।
ছাতির আলীর স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সিলভার রংয়ের বাটি, বাঁশের হাতল লাগানো একটি পানি সেচের ‘হেউত’ নিয়ে ছেলে মামুন মিয়া (৭) ও রুজেল মিয়াকে (১১) নিয়ে মাছ ধরতে যান। কিছু মাছ ধরার পর বড় ছেলেকে মাছ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরই মধ্যে তিনি একটি আকিজ বিড়ি পান করেন। আকিজ বিড়ি পান করার পর তার মাথায় কি-যেনো করে। এরপর হাওরে সুপারি গাছের খুটি দিয়ে জাল পাতানো ছিল। সেই খুটি এনে আঘাত করে খুঁচিয়ে ছোট ছেলেকে হত্যা করে।
এরপর বাড়ি থেকে বড় ছেলে রুজেল ফিরে আসলে তাকে সুপারির চুকা লাঠি দিয়ে ও স্টিলের বল দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এলোপাতাড়ি আঘাত করে তাদের হত্যার কথা স্বীকার করে ছাতির আলী।
হত্যার পর দুই ছেলেকে পানিতে ফেলে রেখে সে অন্য একটি হাওরের ধানক্ষেতে লুকিয়ে থাকে। পরদিন জনতার সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ওসমানী নগরের চিন্তামইন গ্রামের একটি হাওরে নিয়ে দুই শিশুপুত্র মামুন মিয়া (৮) ও রুজেল মিয়াকে (১১) খুন করে পালিয়ে যান তাদের বাবা ছাতির আলী।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে খুনের দায় স্বীকার করেন ছাতির আলী। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খুনের ঘটনার বর্ণনা দেন পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।
এদিন সন্ধ্যায় দুই শিশু সন্তান খুনের ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ছাতির আলীর স্ত্রী নুরবিন বেগম। পুলিশ এ মামলায় ছাতির আলীকে গ্রেফতার দেখায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
এনইউ/বিএস