যশোর: যশোরে বিক্রির উদ্দেশ্যে খাঁচাবন্দি পাখি রাখার দায়ে দুই দোকান মালিককে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহির ইমাম এ দণ্ডাদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহরের মাছ বাজার সড়কের সুশীল স্টোর ও মল্লিক স্টোরে বন্যপাখি খাঁচাবন্দি করে বিক্রি করা হচ্ছিলো। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে দুপুরে সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় সুশীল স্টোরের মালিক সুজন সাহা ও মল্লিক স্টোরের মালিক আনোয়ার মল্লিককে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে সেখান থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১৫টি পাখি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, কালেক্টরেট পার্কে গিয়ে দেশি প্রজাতির তিনটি টিয়া ও দু’টি ঘুঘু পাখি উন্মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া আটটি বিদেশি পাখি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর (৩৪) (খ) ধারা অনুযায়ী, ‘লাইসেন্স অথবা পারমিট প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারো নিকট হইতে কোন বন্যপ্রাণী, বন্যপ্রাণীর কোন অংশ, মাংস, ট্রফি অথবা উহা হইতে উৎপন্ন দ্রব্য বা বনজদ্রব্য বা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ অথবা উহা হইতে উৎপন্ন দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় বা আমদানি-রপ্তানি করেন-
তাহা হইলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত করাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
ইউজি/আরবি/এসআই/এটি