ঢাকা: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষণসহ পাশবিক নির্যাতনের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটির চিকিৎসায় এক লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছে সন্ধানীর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ইউনিট।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিসি সেন্টার (ওসিসিতে) শিশুটির মার হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন সন্ধানীর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ইউনিটের সভাপতি মো. কামাল হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা।
নির্যাতিত শিশুটির মা বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য কোনো টাকা আমাদের খরচ হচ্ছে না। চিকিৎসায় যা কিছু দরকার হচ্ছে, হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়’।
মা বলেন, ‘দুপুরে তার সন্তান খেলার সাথি কাকলী ও রনিকে খুঁজছে। শিশুটি জানে না, সে কোথায় আছে। তাকে
বলা হয়েছে, আমরা অনেক দূরে আছি’।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট তকেয়াপাড়া গ্রামে গত ১৮ অক্টোবর বর্বরোচিত ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সকালে বাড়ির বাইরে খেলতে যাওয়ার পর শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির বাবা।
পরদিন ১৯ অক্টোবর ভোর ৬টায় শিশুটিকে বাড়ির পাশের হলুদ ক্ষেত থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত ২৫ অক্টোবর ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ওসিসি সেন্টারে রাখা হয়েছে তাকে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুর বাবা গত ২০ অক্টোবর প্রতিবেশী মাদকসেবি সাইফুল ইসলাম (৪১) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৭) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শিশুটির সঙ্গে থাকা স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, সাইফুলই বেলা ১২টায় শিশুটিকে হলুদ ক্ষেতটিতে নিয়ে যান। পরে আফজাল হোসেন কবিরাজকে নিয়ে যৌনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ধর্ষণ করেন। শিশুটির বুকে কামড় এবং গলাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করেন। নির্যাতনের পাশাপাশি শিশুটির শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
এজেডএস/এএসআর