দিনাজপুর: দিনাজপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহৃত সব মসলায় মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকারক রঙ, পরিত্যক্ত খুদি চালের গুড়া, ধানের ভূষি ও আটা।
মসলায় এসব ভেজাল উপকরণ মিশিয়ে মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়ে অবৈধভাবে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে ক্ষতিকারক রঙের সঙ্গে পরিত্যক্ত খুদি চালের গুড়া, ধানের ভূষি ও আটা মেশানোর ফলে মানবদেহে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ দেখা দিতে পারে বলেও জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
তবে, ভেজালের বিষয়ে মিল মালিকরা মসলা ভাঙাতে আসা ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছেন। দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার, চক বাজার, রেল বাজার, বালুবাড়ি, সিএসডি রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টির অধিক মসলা গুড়া করার মিল রয়েছে। এসব মিলে হলুদ, মরিচ, জিরা, কালো জিরাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব মসলার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো হয়। যা পর্বতীতে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়।
দিনাজপুর শহরের সিএসডি গোডাউন এলাকার ভাই ভাই মসলা ও তেল মিলের মালিক গোলাম মোস্তফা ভেজাল দ্রব্য মেশানোর কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, ব্যবসায়ীরা মসলা গুড়া করার সময় এসব পরিত্যক্ত দ্রব্য ব্যবহার করে থাকেন। পরে মসলার মান সঠিক রাখতে তাতে ব্যবহার করে ক্ষতিকারক রঙ। তিনি আরও জানান, মিল মালিকরা শুধু মসলা গুড়া করার জন্য কেজি হিসেবে ১৫ টাকা করে নিয়ে থাকেন। মসলায় কি মেশানো হচ্ছে তা দেখে তাদের কোনো লাভ নেই।
বাহাদুর বাজারের খুচরা মসলা বিক্রেতা মকলেছুর রহমান জানান, বাজারে দুই ধরনের মসলা পাওয়া যাচ্ছে। ভালো মানের মসলার দামটা একটু বেশি। তবে, সস্তা মসলা অনুযায়ী সেগুলোতে রঙ মেশানো হয়। আর যে কারণে ক্রেতা বুঝতেই পারে না।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা জিনাত আরা জানান, সব প্রকার ভেজালই মানবদেহের ক্ষতি করে। তবে, এসব ভেজাল দ্রব্যের সঙ্গে ক্ষতিকারক রঙ মেশানো মসলা গ্রহণে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব এই ভেজাল মসলা ত্যাগ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
বিএসকে/পিসি