ঢাকা: ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টয়লেটে নারীর ভিডিও ধারণের ঘটনায় অভিযুক্ত হাসিবুর রহমান সুমন ছাড়া অন্য কারও জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। মামলায় অভিযুক্ত সুমনের বিরুদ্ধে শিগগিরই চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর পুলিশ সুমনকে গ্রেফতার করে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে সে।
রিমান্ড শেষ হওয়ায় আগামী মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সুমনকে আবারও আদালতে হাজির করা হবে, সেখানে নিজের দোষ স্বীকার করে তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টয়লেটে এক নারীর ১০ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণ করায় হাসিবুর রহমান সুমনকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। আদালতে সোপর্দ করে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে। সোমবার তার রিমান্ড শেষ হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আসামি সুমন ইতোমধ্যে ভিডিও করার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার দুইদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। তার কাছ থেকে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তে সুমন ছাড়া অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আইনগত কিছু আনুষ্ঠানিকতা ও তদন্ত সম্পূর্ণরূপে শেষ করার পর শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আদলতে চার্জশিট দেয়া হবে।
মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে, তবে আর রিমান্ড চাওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
এসআই খায়রুল আরও জানান, সুমন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পিএবিএক্স অপারেটর হিসেবে গত ৪ বছর ধরে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা। তার জব্দকৃত মোবাইল ফোনটি থেকে আরো দুই নারীর ছবি পাওয়া গেছে। সুমনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুদের কাছে ছবি পাঠানোর প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’ এ সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড, এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়:১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
এসজেএ/আরআই