কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হালিমের বাগান করার শখ ছিলো ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু সেটি বাস্তব রূপ নিতে শুরু করে ২০০৯ সাল থেকে।
শখের বশে করা বাগান থেকে বেশ লাভবান হচ্ছেন হালিম। এখানেই শেষ নয়, ফুল ও সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরও পালন করছেন তিনি। এতে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয় তার।
হালিমের ছাদের বাগানে রয়েছে পেঁপে, লেবু, পেয়ারা, জলপাই, আমড়া, ডালিম, কমলা, মালটা, জাম্বুরা, পুঁইশাক, কাঁচা মরিচ ও লাউগাছ। ফুলের মধ্যে রয়েছে প্রায় ত্রিশ জাতের গোলাপ, তিন ধরনের ক্যাকটাস, ১০ রকমের জবা, রজনীগন্ধা, ছয় রকমের কাঠগোলাপ, দুই রকমের বেলী, কামিনী ও হাসনাহেনা।
কবুতরের মধ্যে রয়েছে গিরিবাজ, পাংকি, রেসার ও মশালদম প্রজাতির প্রায় ৫০০ কবুতর। প্রতি মাসে তিনি কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ জোড়া কবুতর বিক্রি করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করেন।
এ বিষয়ে হালিম বাংলানিউজকে জানান, শখের বশে কাজের অবসরে প্রায় সাত বছর ধরে বাড়ির ছাদে বাগান করছেন তিনি। এ বাগান থেকে প্রচুর পরিমাণে সতেজ শাক-সবজি ও ফল সংগ্রহ করেন।
বাগানের এসব শাক-সবজি ও ফল বাইরের বাজারে বিক্রি না করে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের উপহার দিতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি।
এছাড়া প্রতিমাসে কবুতর বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা থেকে কবুতরের খাবার এবং এক শ্রমিকের বেতনের ব্যবস্থা করেন। তারপরও প্রতিমাসে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা থাকে বলে জানান তিনি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফখরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, কেরানীগঞ্জে বাড়ির ছাদে বাগান করা দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ব্যক্তি বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ফুল, ফল ও শাক-সবজির বাগান করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রায়ই এসব বাড়ির ছাদের বাগান পরির্দশন করা হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
বিএসকে/আরএ